কলকাতা: বুধবার ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিজেপি। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন। রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, সেই সভা উপলক্ষে শিয়ালদহ স্টেশন এবং রাজ্য বিজেপি-র সদর দফতর মুরলীধর সেন লেন থেকে বিশাল মিছিল বেরোবে। এর পাশাপাশি, হাওড়া স্টেশন-সহ আরও কয়েকটি জায়গা থেকেও মিছিল আসবে। যার জেরে শহরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বেরোনো মিছিলের জন্য এ পি সি রোড, এ জে সি বসু রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড এবং ধর্মতলায় যানজট হতে পারে। মুরলীধর সেন লেন থেকে মিছিল বেরোলে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে তার প্রভাব পড়তে পারে। এই সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আটকে গেলে মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে যানজট তৈরি হতে পারে। ধর্মতলাকে শহরের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়। সেখান দিয়ে বেশির ভাগ মিছিল যাওয়ার ফলে জওহরলাল নেহরু রোড, পার্ক স্ট্রিট, শেক্সপিয়র সরণিতেও যানজট হতে পারে।
রাজ্য বিজেপি ও পুলিশ সূত্রের খবর, বেলা ১১টা থেকেই মিছিল শুরু হতে পারে। যার জেরে ভরদুপুরে থমকে যেতে পারে শহরের গতি। তখন সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে গেলে মেট্রোর উপরে ভরসা করা ছাড়া গতি নেই। তবে এ নিয়ে কেউ কেউ টিপ্পনীও কাটছেন। বলছেন, মেট্রোর যা পরিষেবার হাল, তাতে নিত্যদিনই কোনও না কোনও অঘটন ঘটে। অতিরিক্ত ভিড় সামলে মেট্রো কতটা ঠিকঠাক পরিষেবা দিতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। সমাবেশমুখী বহু মানুষ শহরতলি থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে শহরে পৌঁছতে পারেন। ফলে সেই ট্রেনগুলিতেও ভিড় বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বারেই প্রথম ছাউনি ঢাকা ব্রিগেড সমাবেশ দেখবে কলকাতা। ইতিমধ্যেই সাতটি ছাউনি তৈরি হয়েছে ব্রিগেডের ময়দানে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেও নরেন্দ্র মোদী ব্রিগেডে সমাবেশ করেছিলেন। সে বার অবশ্য ছাউনি ছিল না। পুলিশ সূত্রের খবর, বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামবে মোদীর বিমান। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চেপে তিনি রেসকোর্সে পৌঁছবেন বলে খবর। রেসকোর্স থেকে গাড়িতে চেপে সভাস্থলে পৌঁছবেন।নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকছে ‘স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ’ (এসপিজি)-এর হাতে। ইতিমধ্যেই এসপিজি-র সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কলকাতা পুলিশের। নিরাপত্তা-বিধি মেনেই সমাবেশস্থল ও তার চারপাশে কড়া নিরাপত্তা থাকছে। ব্রিগেডের আশপাশে বিভিন্ন বহুতলে স্নাইপার রাইফেল হাতে মোতায়েন করা হচ্ছে কম্যান্ডো বাহিনীকে।