ফের কর্নাটকের কুর্সিতে ইয়েদুরাপ্পা, দুশ্চিন্তা নিয়েই সন্ধ্যা ৬টায় মুখ্যমন্ত্রিত্বের শপথ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#বেঙ্গালুরু: লক্ষ্যপূরণ বিজেপির। কর্নাটকে চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় মুখ্যমন্ত্রিত্বের শপথ নেবেন তিনি।

এদিন সকাল দশটা নাগাদ সরকার গড়ার দাবি নিয়ে রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সঙ্গে সাক্ষাত করেন ইয়েদুারাপ্পা। রাজ্যপাল দাবি মেনে নেন। তারপরেই রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে ইয়েদুরাপ্পা বলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আজ সন্ধে ৬টা শপথ নেব।কর্নাটকে বহুদিন ধরেই চলতি সরকারের স্থায়িত্ব এবং নতুন সরকার গঠন নিয়ে দোলাচল চলছিলই, কিন্তু এতদিন বিজেপি সরাসরি সরকার গঠনের দাবি জানায়নি। পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, তা নিশ্চিত হতে চেয়েছিল। আস্থা ভোটের পর জোট-সরকারের পতনের পরই কর্নাটকের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে তা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় বিজেপি শিবির।

২২৫ আসন বিশিষ্ট (এক জন মনোনীত সদস্য) কর্নাটক বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৫। এই মুহূর্তে, কর্নাটক বিধানসভায় দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন যোগ করে বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ১০৭টি আসন। যেখানে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের ঝুলিতে গিয়েছে ৯৯ সমর্থন। এর মধ্যে স্পিকার রমেশ কুমার বৃহস্পতিবার রাতেই দলত্যাগ বিরোধী আইনে ১৭ জনের মধ্যে তিন জন বিক্ষুব্ধ বিধায়কের বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁরা হলেন কংগ্রেসের আর শঙ্কর এবং আরও দুই বিদ্রোহী বিধায়ক রমেশ জারকিহোলি ও মহেশ কুমথালি। ফলে তাঁরা আর বিধানসভার সদস্য রইলেন না। বিধানসভা ভেঙে দেওয়া না হলে ভোটেও লড়তে পারবেন না।

তিন জনের সদস্যপদ খারিজের ফলে বিধানসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১১১ জনের সমর্থন। নির্দল ও অন্য ছোট দলের সমর্থনে বিজেপি সরকার গড়লেও পরবর্তী সময়ে বিদ্রোহী বিধায়কদের ভূমিকা বিজেপির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ এঁরা কুমারস্বামীকে সরালেও এঁদের অধিকাংশ কিন্তু কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার ঘনিষ্ঠ। ফলে বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফা অথবা সদস্যপদ খারিজ নিয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে বিজেপির কাছে। এই বিধায়কদের সঙ্গে কংগ্রেসের ফের যোগাযোগের সম্ভাবনাও খারিজ করতে পারছে না বিজেপি। এ ছাড়া, কর্নাটক মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। এ সব সমীকরণের কথা মাথায় রেখেই কিছুটা দোলাচলেও রয়েছে কর্নাটকের বিজেপি শিবির। কারণ শপথ নেওয়ার পর স্পিকারের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও প্রমাণ করতে হবে বিধানসভায়।

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কখনওই গোটা সময় থাকতে পারেননি ৭৬ বছরের এই প্রবীণ নেতা। এর আগের বার মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে ছিলেন মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও আস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগ করেন ইয়েদুরাপ্পা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest