ব্রেক্সিট অসফল, দায় স্বীকার করে পদ ছাড়ছেন টেরেসা মে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#লন্ডন: পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির নেত্রী পদে ইস্তফা দেবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। ব্রেক্সিট চুক্তিতে দলের এমপিদের সমর্থন জোগাড় করতে না পেরে শুক্রবার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে মে জানান, আগামী ৭ জুন তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন।ডাউনিং স্ট্রিটের বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে একটি বিবৃতিতে এ দিন মে বলেন, ‘‘এটা আমার কাছে খুব দুঃখের বিষয় যে, ব্রেক্সিটটা আমি করতে পারলাম না। এই দুঃখটা আমার থেকেই যাবে।’’ এ কথা বলার সময় আবেগে গলা ভেঙে যায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর।

তিন বারের আপ্রাণ চেষ্টায়ও ব্রেক্সিট জট কাটাতে সক্ষম হলেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

শুক্রবার কনজারভেটিভ পার্টির অন্দরে কড়া বিরোধিতার মুখে মে’র ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটিই স্থগিত হয়ে যায়। তারপরই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন টেরেসা মে। তিনবার চেষ্টা করেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তাঁর প্রস্তাবিত চুক্তি পাশ না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ তিনি। এদিন সেই হতাশায় ঝড়ে পড়ল মে’র গলায়। এদিন কোনওমতে কান্না চেপে তিনি বলেন, “চুক্তিটি পাশ করাতে সমস্ত সম্ভব চেষ্টা করেছি। আমি খুব দুঃখিত তিনবার চেষ্টা করেও সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি পাশ করাতে পারলাম না। আমার মনে হয়, এবার  সরে দাঁড়ানোর সময়। অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রীর পদে বসে দেশকে নেতৃত্ব দেবে।”

তাহলে আপাতত পরিস্থিতি কী দাঁড়িয়েছে? আগামী জুন মাসের ৭ তারিখ কনজারভেটিভ পার্টি’র দলনেত্রী হিসেবে পদত্যাগ করবেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই ইস্তফা দিচ্ছেন না মে। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত রাশ থাকছে তাঁর হাতেই। এদিকে মে’র উত্তরসূরী বাছাই করতে সময় লাগবে। কারণ দলের অন্দরে রয়েছে বহু দাবিদার। তাই আগামী কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাতে হবে টেরেসা মে-কেই। এদিকে অক্টোবর ৩১-এর মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে বেরিয়ে যেতে হবে ব্রিটেনকে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest