মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#কলকাতা: মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আরও ধৈর্য ধরতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন ‘জনমুখী’ প্রকল্প চালাতে অর্থ প্রয়োজন। সেই প্রকল্পগুলো বন্ধ করে ডিএ বাড়ানো কঠিন বলে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

তাঁর দাবি, ঋণ শোধ করার পর যেটুকু অর্থ বেঁচে থাকে তা দিয়েই রাজ্যের উন্নয়নের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়। এ বছরেই ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ শোধ করেছে রাজ্য। এ ছাড়াও বিভিন্ন ‘জনমুখী’ প্রকল্প চালাতে অর্থ প্রয়োজন। সেই প্রকল্পগুলো বন্ধ করে ডিএ বাড়ানো কঠিন বলে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি। রাজ্যবাসীর জন্য খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, সমব্যথী-র মতো প্রকল্পগুলো চালু করেছে সরকার।” পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন, খাদ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে ২ টাকায় চাল দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, সমব্যথী, সবুজসাথীর মতো প্রকল্পগুলির সুবিধা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এর পরই তাঁর মন্তব্য, সব বিনা পয়সায় চললে সরকারকে তো টাকাটা জোগাড় করতে হবে!

বেতন কমিশন প্রসঙ্গে মমতা তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “নির্বাচনের সময় নতুন পে কমিশনের ব্যাপারে অনেক কুৎসা ছড়ানো হচ্ছিল। অনেকেই বলছেন এটা দিন ওটা দিন। কিন্তু বেতন কমিশন রিপোর্ট দিলে তবেই তো কার্যকর করার প্রশ্ন আসবে। বেতন কমিশন রিপোর্টই পেশ করেনি এখনও। ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে তারা। ওরা রিপোর্ট জমা দিলে সাধ্যমতো যা করার করব।” এ নিয়ে তিনি কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারকে ডেকে কথা বলবেন বলেও জানান। তবে সবার আগে যে কল্যাণমূলক প্রকল্প সে কথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বেতন কমিশন যদি সুপারিশ করে খাদ্যসাথী প্রকল্প বন্ধ করতে, তা কখনোই সম্ভব নয়। গরিব লোককে ভাতে মারব না। গরিব লোককে কাজ দেওয়াই আমার কাজ।”

যদিও পে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং মহার্ঘ ভাতা না মেলায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টা কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯টাতেই পোস্টাল ব্যালটের ভোটে বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। মনে করা হচ্ছে, মহার্ঘ ভাতা না মেলায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেশির ভাগ ভোটই গিয়েছে বিজেপির দিকে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest