মার্কিন ভিসা পেতে চাইলে এবার থেকে দিতেই হবে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#ওয়াসিংটন: ভিসা নিয়মে বড়সড় রদবদল করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখন থেকে সেদেশে ভিসা পেতে গেল দিতে হবে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। এছাড়াও দিতে হবে অন্তত পাঁচ বছরের পুরনো ই-মেইল অ্যাড্রেস ও ফোন নম্বর।

আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই দেশে আসার জন্য ভিসার আবেদন করবেন, তাঁদের গত পাঁচ বছরের সোশ্যাল মিডিয়ায় সব অ্যাকাউন্টের তথ্য, সব ই-মেল অ্যাড্রেস ও ফোন নম্বর জমা দিতে হবে। তারপরেই সব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তাঁকে ভিসা দেওয়া হবে কি হবে না। যাঁরা বেড়াতে আসছেন, বা পড়াশোনার কাজে আসছেন, তাঁদেরকে এই তথ্য জমা দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কোনও দেশের সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যাঁরা আসবেন তাঁদের কোনও রকম তথ্য জমা দিতে হবে না।

জানা গিয়েছে, গত বছরই এই নির্দেশিকা বলবত করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এর ফলে প্রতি বছর মার্কিন মুলুকে যাওয়া অন্তত ১৪.৭ মিলিয়ন মানুষের উপর এই প্রভাব পড়বে বলে জানা গিয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমরা প্রতিনিয়ত এই চেষ্টা করছি, কীভাবে আমাদের দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা বাড়ানো যায়। আর তাই বাইরে থেকে আসা মানুষদের এই নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এটা আমাদের দেশের সুরক্ষার প্রশ্নে। এই প্রশ্নে কোনও অনিয়ম হবে না।”

এর আগেও অবশ্য আমেরিকার ভিসা পেতে গেলে এই ধরণের তথ্য জমা দিতে হতো। তবে সেটা শুধুমাত্র তাঁদেরই দিতে হতো, যাঁরা কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত দেশ থেকে আমেরিকা যাচ্ছেন। এ বার সবার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম করা হলো। এই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেউ যদি নিজেদের ব্যাপারে ভুল তথ্য দেন, তাহলে তার ফল তাঁকে ভুগতে হবে। হয়তো ভবিষ্যতে আর কোনও দিন তিনি আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদনই করতে পারবেন না।

২০১৮ সালের মার্চ মাসে ট্রাম্প সরকার প্রথম এই নিয়ম করার প্রস্তাব আনে। তখন আমেরিকান সিভিল লিবারটিস গ্রুপ নামে একটি সংস্থা এর বিরোধিতা করেছিল। তাঁদের দাবি ছিল, এই ধরণের কাজ মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। তাই তখন এই নিয়ম করা যায়নি। কিন্তু ফের নির্বাচনের আগে একটা বড় সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest