মোদীকে আক্রমণ আরও জোরালো, মমতায় সুর নরম রাহুলের!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#পুরুলিয়া: বাংলায় প্রথম তিনটি সফরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী৷কিন্তু চতুর্থ জনসভায় কংগ্রেস সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীর বক্তব্যে বৈপরীত্য কান এড়াল না উপস্থিত শ্রোতামণ্ডলীর। এর আগে মালদহের সভায় এসে তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকাররের পাশাপাশি রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমালোচনাতেও সরব হন। কিন্তু মঙ্গলবারের সভায় তাঁর আক্রমণের অভিমুখে যেন বাঁধা রইল এক দিকেই, নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেই আগাগোড়া বিষোদগার করে গেলেন রাহুল।

এদিন দলের প্রার্থী নেপাল মাহাতোর সমর্থনে প্রচারে আসেন রাহুল৷সেখানে তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে দেশের মানুষের চৌকিদারি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর মেহুল চোকসি, ললিত মোদী, নীরব মোদী, অনিল অম্বানীদের চৌকিদারি করছেন। কৃষক-শ্রমিকদের চৌকিদার হতে পারেননি মোদী, মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ করলেন রাহুল গান্ধী। একই সঙ্গে তিনি আগামী ভবিষ্যতে কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার গঠিত হলে সাধারণ মানুষের জন্য দেদার সরকারি পরিষেবার কথা তুলে ধরেন। বলেন, “কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দরিদ্রদের সঙ্গে ন্যায় হবে। দারিদ্রতার উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে। ঋণ নিয়ে শোধ করতে না পারলে কৃষকদের আর জেলে যেতে হবে না। এর জন্য আইন বদলাবে কংগ্রেসের সরকার। কৃষকদের জন্য আলাদা বাজেট করা হবে। এক বছরে ২২ লক্ষ চাকরি দেবে কংগ্রেস”। তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদী এক রাজ্যে গিয়ে একেক রকমের কথা বলেন। ভিন্ন ভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেড়ান। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে লড়াই বাঁধানোর চেষ্টা করে ঘৃণা ছড়িয়ে বেড়ান”। এ দিকে কতকটা একই ভাবে একটি বাংলা টেলিভিশন সংবাদ মাধ্যমে রাহুল না কি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছেন, “মোদী নিজেকেই ঘৃণা করেন, ওনার হৃদয়ে ভালোবাসা জাগাবই”।

কয়েকদিন আগে শিলিগুড়িতে তাঁর হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দেয়নি মমতার প্রশাসন৷ এমনকি তৃতীয় দফার ভোটে শাসক দলের সন্ত্রাসে বলি হয়েছেন এক কংগ্রেস কর্মী৷ তারপরও এদিন মমতা নিয়ে রাহুলের নমনীয়তা অন্য জল্পনা উস্কে দিল৷ মিনিট ১৫-র বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেই সরব ছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তিনি বলেছেন, “ব্যক্তিগত ভাবে মমতার বিরোধী নই, ওনাকে শ্রদ্ধা করি”।

রাজনৈতিক মহলের মনে করছে আগামীতে সরকার গঠনে কাছাকাছি আসতে পারে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস। গত সপ্তাহে কলকাতায় এসে কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ সেই বার্তা দিয়ে গিয়েছেন৷ তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ভোট পরবর্তী সময়ে এ রাজ্যের শাসকদলকে ‘বন্ধু’ করতে কংগ্রেসের কোনও আপত্তি নেই। তাঁরা চান বিজেপি বিরোধী সমস্ত দল এক জোট হয়ে সরকার গড়তে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সেই কারণেই রাহুলও হয়তো একটু দিদিকে নিয়ে মেপে কথা বলছেন৷

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest