যোগীর সরকারকে তীব্র ভর্ত্সনা, ধৃত সাংবাদিককে দ্রুত মুক্তির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#নয়াদিল্লি : সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়াকে গ্রেফতারের জন্য যোগী সরকারের তীব্র সমালোচনা করল সুপ্রিম কোর্ট। কীসের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই প্রশ্ন তুলে অবিলম্বে সাংবাদিককে মুক্তির নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।

প্রশান্তের স্ত্রী জগীশা অরোরার আবেদনের ভিত্তিতে একটি মামলার শুনানি শুরু হতেই সুপ্রিম কোর্টের গ্রীষ্মাবকাশকালীন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, ‘তিনি কি খুনের আসামি ?’ বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অজয় রাস্তোগির বেঞ্চ জানান, ‘‘ এই ধরনের আবেদন আমরা গ্রহণ করি না, কিন্তু একজন লোক বিনা বিচারে এগারো দিন জেলে থাকতে পারেন না।’’

দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী যোগীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভিডিও পোস্টের অভিযোগে প্রশান্তকে গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। প্রশান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় লখনউয়ের হজরতগঞ্জ থানায়। প্রশান্তের টুইটার প্রোফাইল থেকে জানা গিয়েছে, কদিন আগে ওই যুবক ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যাতে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা উত্তরপ্রদেশের সচিবালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বারবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে। এবং মুখ্যমন্ত্রীর তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলেও দাবি করছেন। ভিডিওটি পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনার পরই গ্রেপ্তার করা হয় প্রশান্তকে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতে। বিরোধীরা তীব্র আক্রমণ শানায় বিজেপিকে। যোগী আদিত্যনাথের এই কাজকে বোকামি বলে মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও। স্বামীর মুক্তির দাবিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন প্রশান্তের স্ত্রী। এদিন তাঁর মামলার ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তিরস্কার করে বলে, “এবার একটু মহানুভবতা দেখান এবং প্রশান্তকে মুক্তি দিন। স্বাধীনতা প্রত্যেক নাগরিকের পবিত্র অধিকার, এটা নিয়ে আপোশ করা যায় না। সংবিধান এই অধিকার সুরক্ষিত করেছে।”

প্রশান্তের আইনজীবী শদন ফরসত  আদালতকে জানায়, তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার বেআইনি। গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সাংবাদিকদের গ্রেফতারে তীব্র সমালোচনা করে এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া। আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে যোগী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে যোগীর পুলিস।  আদালতে প্রশান্তের জামিনের বিরোধিতা করে যোগীর সরকার। আদালতকে তারা জানায়, প্রশান্তের টুইটার প্রোফাইল পরীক্ষা করার পর দেখা গিয়েছে ধর্ম এবং দেব-দেবী নিয়ে নানা উস্কানিমূলক কথা পোস্ট করেছেন। তারা এই অভিযোগও করে যে, শুধু দেব-দেবী বা ধর্মই নয়, রাজনীতিবিদ এবং বহু মানুষকে নিয়েও বিতর্কিত টুইট করেছেন ধৃত সাংবাদিক। যোগীর সরকার নানা রকম যুক্তি দেখালেও শীর্ষ আদালত তাদের কাছে বার বারই জানতে চায়, কোন ধারায় সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পরই আদালত প্রশান্তকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest