#নয়াদিল্লি: প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে নিয়ে ‘ভ্রষ্টাচারী নাম্বার ওয়ান’ মন্তব্যের জন্য এবার দলের মধ্যেই সমালোচিত হলেন নরেন্দ্র মোদী৷ বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি শ্রীনিবাস প্রসাদ এই নিয়ে মুখ খুললেন৷ স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, রাজীব গান্ধীকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ওই মন্তব্য করা উচিত হয়নি৷
কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী ও ছ’বারের সাংসদ ভি শ্রীনিবাস প্রসাদ অটল জমানার মন্ত্রী ছিলেন৷ পরে দলের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে কংগ্রেসে যোগ দেন৷ কিন্তু ২০১৭ সালে পুরোনো দলেই ফিরেই আসেন৷ তিনি জানান, ‘বোফর্স দুর্নীতি নিয়ে রাজীবের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়৷ রাজীব গান্ধীকে নিয়ে মোদী যা বলেছেন তা একেবারেই বলা উচিত হয়নি৷ কোনও প্রয়োজন ছিল না তাঁর নাম টেনে আনার৷ রাজীব গান্ধী দুর্নীতির অভিযোগ গায়ে নিয়ে মারা যাননি৷ এলটিটিই পরিকল্পনা করে রাজীব গান্ধীকে হত্যা করে৷ অটল বিহারী বাজপেয়ীর মতো প্রবাদপ্রতিম নেতারাও রাজীব সম্পর্কে উচ্চ প্রশংসা করে গিয়েছেন৷ উনি খুব ছোট বয়সেই বড় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন৷’
কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশের জনসভায় দুর্নীতি প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বাবা ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে টেনে আনেন৷ জানান, বাপ ভ্রষ্টাচারি নম্বর ওয়ান৷ তাঁর মোসাহেবরা রাজীবকে মিঃ ক্লিন বলে ডাকলেও দুর্নীতি তকমা গায়ে মেখেই মারা যান৷ মোদীর এই মন্তব্য ভোটের মুখে তুমুল সমালোচনার ঝড় তোলে৷ সমালোচনায় সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। এবার দেখা গেল কংগ্রেস তো বটেই বিজেপি নেতাদের একাংশ এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন৷
এদিকে এদিনই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল৷ তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, বিজেপি সমর্থিত ভিপি সিংয়ের সরকার রাজীব গান্ধীকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়নি৷ বিজেপির প্রবল বিদ্বেষের কারণে প্রাণ হারান তিনি৷ রাজীব গান্ধীকে ‘ভ্রষ্টাচারী নাম্বার ওয়ান’ বলার পর থেকে নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কংগ্রেস৷ এদিন দলের হয়ে সাত সকালে ময়দানে নামেন একসময় সোনিয়ার ব্যক্তিগত উপদেষ্টা আহমেদ প্যাটেল৷ একটি ট্যুইট করে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ লেখেন, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে রাজীবের প্রাণনাশের আশঙ্কা করা হয়েছিল৷ বারবার বলা স্বত্ত্বেও তাঁর নিরাপত্তা বাড়ায়নি তৎকালীন বিজেপি সমর্থিত ভিপি সিংয়ের সরকার৷ বিজেপির ঘৃণা ও বিদ্বেষের বলি হন রাজীব৷