মুম্বই: ১৯৪৭ সালের আগে পাকিস্তান নামের কোন রাষ্ট্রই ছিল না। ১৯৪৫ সালের আগে এটি ছিল হিন্দুস্তানের অংশ। ২০২৫ সালে আবারও পাকিস্তান হিন্দুস্তানেরই অংশ হয়ে উঠবে মুম্বইয়ের এক সভায় এমনই মন্তব্য করলেন আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার।
সঙ্ঘের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য শনিবারই মুম্বইয়ের সভায় বলেন, ‘‘আর মাত্র পাঁচ থেকে সাতটা বছর। করাচি, লাহৌর, রাওয়ালপিণ্ডি, শিয়ালকোট যে খানেই সুযোগ পাবেন বাড়ি করতে পারবেন আপনারা। খুব বেশিদিন নেই।’’ তাঁর এই মন্তব্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সঙ্গে এ-ও বলেন,‘‘ সেখানে নাসিরুদ্দিন বা নভজ্যোত সিংহ সিধু-র মতো বিশ্বাসঘাতকরা থাকবে না’’।একইসঙ্গে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ও মহারাষ্ট্রের নামও উল্লেখ করেন তিনি।আরএসএসের এই নেতা কাশ্মীর, চিন, সেনাবাহিনী নিয়েও নিজের বক্তব্য পেশ করেন। তাঁর মত, অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন সফল হতে খুব বেশিদিন লাগার কথা নয়। ইন্দ্রেশের কথায়, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বা ইচ্ছাশক্তির জোরে খানিকটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। লাহৌরে বাড়ি করার স্বপ্ন দেখাতে তাই ভুল কিছু নেই। কিংবা মানস সরোবর যেতে গেলে চিনের প্রশাসন থেকে অনুমতি নিতে হবে না, এমনটাও স্পষ্ট বলেছেন তিনি।
এই জনসভায় তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের স্পেশাল স্টেটাস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন৷ আরএসএসের এক দেশ, এক সংবিধান মতধারার ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘ এই নীতি যদি সব রাজ্যে কার্যকর হয় তাহলে জম্মু কাশ্মীরের জন্য আলাদা সংবিধান, আলাদা পতাকা ও আলাদা নাগরিকত্ব কেন? সকল ভারতীয়ের কাছে কাশ্মীরি গ্রহণযোগ্য কিন্তু সকল হিন্দুস্তানিকে ওরা আপন করে দেখে না ৷ এটা গণতন্ত্রের প্রতি অবিচার এবং হত্যার সামিল৷’’বালাকোটের এয়ারস্ট্রাইকের পর সেনার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সেই সব নেতা ও ব্যক্তিদের বিশ্বাসঘাতক বলে তোপ দাগেন আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার৷ তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনার পক্ষেও সওয়াল করেন৷
একই সঙ্গে ইন্দ্রেশ বলেন, “ভারত সরকার এই প্রথমবার পাকিস্তানের প্রতি কড়া মনোভাব নিয়েছে। কারণ, সেনা বাহিনীও রাজনৈতিক শক্তির ইচ্ছাশক্তির উপর নির্ভর করে পদক্ষেপ নেয়।”