৫৬ ইঞ্চির বক্সার কোচ আডবানীর মুখে ঘুসি মেরেছেন, মোদীকে নয়া আক্রমণের পথে রাহুল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#ভিওয়ানি: লালকৃষ্ণ আডবাণীর প্রসঙ্গ টেনে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সোমবার হরিয়ানার ভিওয়ানিতে এক জনসভায় বক্তৃতা করার সময় তিনি এই আক্রমণ করেন। মোদীকে বক্সার ও আডবাণীকে মোদীর কোচ বলে বর্ণনা করেছেন রাহুল।

হরিয়ানার ভিওয়ানি। এই জেলা থেকে ২০০৮-এর অলিম্পিক্সে চার জন বক্সার বেজিং গিয়েছিলেন। সেই ভিওয়ানিতে গিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বক্সার বলে হাততালি কুড়োলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিন ভিওয়ানির সভায় বেশ রসিয়ে রসিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “গত নির্বাচনে হিন্দুস্থান এক নতুন বক্সার নরেন্দ্র মোদীকে পেয়েছে। ৫৬ ইঞ্চি ছাতির বক্সার রিং-এ নামেন।” দারিদ্র, কৃষকদের সমস্যা আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোদীর লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে রাহুল বলেন, “ওই লড়াইয়ের দৰ্শক ছিল দেশের মানুষ। ছিলেন নরেন্দ্র মোদীজির কোচ লালকৃষ্ণ আদবাণীজি এবং নিতিন গড়কড়িজি-সহ তাঁদের গোটা দল। গোটা দেশ তখন ভেবেছিল এই নতুন বক্সার দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়বে, কৃষকদের সমস্যা মেটাবে, দুর্নীতি বন্ধ করবে, জনগণের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা করে দেবে।” গনগনে রোদের মধ্যেও জনসভায় হাসির ঢেউ ওঠে রাহুলের এই কথায়। হাসির রেশ থাকতে থাকতেই রাহুল ফের বলতে শুরু করেন বক্সারের গল্প। বলেন, “বক্সার শুরুতেই কোচ আদবাণীজির মুখে পাঞ্চ করেন। এর পরে একের পর এক গড়কড়িজি, অরুণ জেটলিজি, ধর ধর ধর…।” মাইকের সামনে সেই সময়ে ঘুষি মারার অভিনয়ও করতে থাকেন রাহুল গান্ধী।

প্রসঙ্গত, এবার বয়সের গেরোয় বিজেপির অনেক বর্ষীয়ান নেতাকে প্রার্থী করা হয়নি। সেই দলে মুরলী মনোহর যোশী যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন লালকৃষ্ণ আডবাণীও। দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে এভাবে ব্রাত্য করে দেওয়ায় বিতর্ক হয়েছিল ব্যাপক। বিজেপির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করেছিল। দলের বর্ষীয়ানদের মোদী-অমিতরা সম্মান দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। সোমবার কার্যত সেই প্রসঙ্গই খুঁচিয়ে তুললেন রাহুল গান্ধী। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, গান্ধীনগরের ছবারের সাংসদ ৯১ বছরের আদবাণীকে প্রার্থী না করে সেই কেন্দ্র অমিত শাহকে দেওয়া নিয়ে বিজেপিতে যে ক্ষোভ রয়েছে তা কাজে লাগানোর চেষ্টাই কংগ্রেস সভাপতির লক্ষ্য।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest