#নয়াদিল্লি: নির্মলার বাজেটে ‘অখুশি’ শেয়ার বাজারের লগ্নিকারিরা! বাজেটের পর থেকেই শেয়ার বাজারে পতনের প্রবণতা অব্যাহত। সপ্তাহের শুরুতে সোমবারও সেই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেল। এ দিন বাজার খুলতেই ৭৭৮ পয়েন্ট পড়ে সেনসেক্স দাঁড়ায় ৩৮,৭৩৫.১৩ অঙ্কে দাঁড়ায়। অন্য দিকে, নিফটি ২৪৫ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়ায় ১১,৫৫৬.৬০ অঙ্কে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। দুপুরের দিকে এক ধাক্কায় ৯০০ পয়েন্ট নেমে যায় সেনসেক্স। যা এখনও পর্যন্ত বছরের সবচেয়ে খারাপ প্রবণতা বলে মনে করা হচ্ছে। কোনও একদিনে সূচকের সর্বোচ্চ পতনের নিরিখে ভারতীয় শেয়ার বাজারের ইতিহাসে এটি প্রথম দশটি পতনের মধ্যে একটি।
গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সাধারণ বাজেট ২০১৯ পেশের দিনেই ইঙ্গিত মিলেছিল। সে দিন শেয়ার বাজারের দুই সূচক সেনসেক্স এবং নিফটি প্রায় ১ শতাংশের কাছাকাছি পতনে শিকার হয়। মাঝে শনিবার এবং রবিবার বন্ধ থাকার পর সোমবার বাজার খোলার পর থেকেই পাহাড়প্রমাণ ধসের মুখোমুখি এ দেশের শেয়ার বাজার।
এ বারের কেন্দ্রীয় বাজেটের মূল লক্ষ্যই আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতিতে ৫ ট্রিলিয়নে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই লক্ষ্যমাত্র পূরণ করতে হলে যে সমস্ত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তার ছিটেফোঁটাও উল্লেখ করা হয়নি প্রস্তাবিত বাজেটে। এক দিকে ৪০০ কোটি টার্নওভারের উপর বাড়তি করের বোঝা চাপানো, শেয়ার বাজারে বিদেশি বিনিয়োগের উপর বাড়তি কর, সোনা-সহ মূল্যবান ধাতুর আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়ে সাড়ে ১২ শতাংশে বৃদ্ধি-সহ ইত্যাদি “নেতিবাচক” পদক্ষেপের ফল ভুগছে শেয়ার বাজার। সঙ্গে রয়েছে ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে রাজকোষের ঘাটতি বৃদ্ধি। যা বেড়ে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকায় ঠেকেছে। স্বাভাবিক ভাবেই সেই ঘাটতি মিটিয়ে কী ভাবে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাবে জিডিপি, তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের মনে। শেয়ার বিনিয়োগকারীদেরও একই আশঙ্কা। কেনার থেকে স্টক বিক্রি করে দেওয়ার হিড়িক সম্ভবত সেই কারণেই।
এ দিন ব্যাঙ্ক, অটো, তথ্য ও প্রযুক্তি, তেলের শেয়ারে ব্যাপক ধস নামে।সর্বাধিক শেয়ার দর পড়েছে বাজাজ ফিনান্স, মারুতি সুজ়ুকি, ওএনজিসি, আইওসি। মন্দা বাজারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে ইয়েস ব্যাঙ্ক, এইসিএল টেক, ভারতী ইনফ্রাটেল, টিসিএস ইত্যাদি শেয়ার। অটো এবং ব্যাঙ্কিং শেয়ারগুলির সঙ্গে এ দিন শেয়ার বাজারের পতনে লোকসান হয়েছে ওনএসজিসি, বাজাজ ফিনান্স, ইন্ডিয়ান অয়েল, এসবিআই, লারসেন অ্যান্ড টুবরো-র মতো নামকরা সংস্থাগুলির।