কলকাতা: রাজ্যে জোটের সম্ভাবনায় পুরোপুরি জল ঢেলে দিয়ে লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস। শনিবার রাতে প্রদেশ কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে খবর। বৈঠকে হাজির ছিলেন দীপা দাশমুন্সি,আব্দুল মান্নান, শংকর মালাকার,শুভঙ্কর সরকার সহ এক গুচ্ছ নেতা। সেখানেই সিপিএম তথা বামেদের সঙ্গে সমঝোতা না করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন বহু জন।
সৌমেন মিত্র তখন গোটা বিষয়টি হাইকমান্ডকে জানানোর কথা বলেন। রাতেই গোটা বিষয়টি ফ্যাক্স করে জানিয়ে দেওয়া হয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে।প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা হয় দিল্লির হাইকমান্ডের। সেখানেই রাজ্যে একলা চলার সবুজ সংকেত দেন রাহুল গান্ধী। ফলে রাজ্যের ৪২ টি আসনে প্রার্থী দিতে চলেছে কংগ্রেস।
২০১৪ সালের মতো এবারও বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে চতুর্মুখী লড়াই হবে। এর জেরে তৃণমূল এবং বিজেপি কিছু যে সুবিধা হবে তা অস্বীকার করছে না প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।তবে এই সিদ্ধান্তের পরে কংগ্রেসের এখন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ আসনে লড়ার জন্য যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাওয়া।আপাতত প্রথম তিন দফায় যে আসনে ভোট তার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে শনিবার রাতেই দিল্লি ছুটে গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মিত্র ও বিরোধী দলনেতা মান্নান। দিল্লিতে আজ কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় স্ক্রীনিং কমিটি ও নির্বাচন কমিটির বৈঠকে অনুমোদিত হলে ওই ১০ আসনের তালিকা ঘোষণা হয়ে যাবে বলে দলের অন্দরমহল এর খবর। প্রথম তালিকায় বর্তমান দুই সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালু ,অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ছাড়াও দীপা দাশমুন্সি, শংকর মালাকার, ইশা খান চৌধুরী, সুখবিলাস বর্মা, ছাত্র পরিষদ সভাপতি সৌরভ প্রসাদের নাম আছে বলে খবর।কথাবার্তা এগোনোর পরেও বাম ও কংগ্রেস জোট হল না কেন? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের অভিযোগ, কংগ্রেসের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে না সিপিএম উল্টে তাদের আসনের প্রার্থী দিচ্ছে এই অবস্থায় জোট করা অসম্মানের তাই কংগ্রেস একা লড়বে।
সৌমেন মিত্র বলেন, “দলের সম্মান আগে। ভোটের কথা ভেবে দলের সম্মান বিসর্জন দেওয়া যায় না। বামফ্রন্টের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে যাবতীয় ত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু এর পরে আর এগনো সম্ভব নয়”।তিনি বলেন, “জোট যখন হচ্ছে না, তখন রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রেই প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কংগ্রেসের প্রার্থীর নাম ঠিক করবে বামফ্রন্ট? এটা জোটের লক্ষণ হতে পারে না”।