ইরান: কুর্দিশ নয়া বছর উদযাপন করতে গিয়ে মসুলে নৌকাডুবিতে মৃত্যু হল অন্তত ১০০ জনের। বেসরকারি সূত্রে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি।মৃতদের মধ্যে ১৯ জন শিশু রয়েছে বলে খবর।ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাধি।
ইরাক, ইরান-সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পার্সি এই সময় নতুন বছর হিসেবে পালিত হয় ‘নওরোজ’। ইরাকের নৌকাডুবিতে উদ্ধারকারী দলের সূত্রে খবর, সেই উপলক্ষ্যেই অন্তত ২০০ জন যাত্রী নিয়ে ওই ফেরিটি টাইগ্রিস নদী পেরিয়ে একটি বিনোদন দ্বীপে যাচ্ছিল। অধিকাংশ যাত্রীই নতুন বছরের উৎসবে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই মাঝ নদীতে ডুবে যায় ফেরিটি। খবর পেয়ে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। একাধিক স্টিমার বোটের পাশাপাশি হেলিকপ্টার নামানো হয় উদ্ধারে। তার আগে স্থানীয়রাও উদ্ধারে হাত লাগান।
https://twitter.com/vitaxnewsroom/status/1108757777361588225
নৌকাডুবির পর মোবাইলে তোলা একাধিক ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রবল জলস্রোতে ভেসে যাচ্ছেন প্রচুর মানুষ। সাহায্যের জন্য আর্ত চিৎকার করছেন। যে যা পেয়েছেন, সেটাই আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করছেন। উল্টে যাওয়া ফেরিটিও দেখা গিয়েছে ওই সব ভিডিয়োতে। তবে তার মধ্যেই কয়েক জনকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধারে নামার ছবিও ধরা পড়েছে।
এই ঘটনায় পাঁচজন ফেরি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজদের উদ্ধারকার্য চলছে। টাইগ্রিস নদীতে সাধারণভাবে অনেক জল না থাকলেও বছরের এই সময়ে নদীতে জল ও স্রোত অনেক বেশি থাকে। কারণ তুরস্কের পাহাড়ের বরফ গলে টাইগ্রিস নদী ভরিয়ে দেয়।ইরাকের উদ্ধারকারী দলের একটি সূত্রে খবর, টাইগ্রিস নদীতে জলস্ফীতি এবং তীব্র জলস্রোতের সতর্কবার্তা ছিল। কারণ, মসুলের নদীবাঁধের গেট খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফেরিচালক সংস্থা সে সব উপেক্ষা করেই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ওই বিনোদন দ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেয় ফেরিটি। মাঝ পথেই বিপর্যয়। ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ফেরির বহন ক্ষমতার অন্তত দ্বিগুন যাত্রী তোলা হয়েছিল। যদিও অন্য একটি সূত্রের দাবি, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই ঘটনা।