মুম্বই: হিসাবটা সহজ ছিল৷ জিতলে প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত৷ হারলে রান রেটের নিরিখে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ এই অবস্থায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে লিগের শেষ ম্যাচে জয় তুলে নিতে মরিয়া ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স৷ তবে মরণ-বাঁচন ম্যাচে রোহিতদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ নাইট রাইডার্স ব্যাটসম্যানরা৷ ২০ ওভারে নাইটরা করল সাত উইকেটে১৩৩।
শুরুতে অবশ্য আশা জাগিয়েছিলেন ক্রিস লিন। ২৯ বলে মারমুখী ৪১ রান করেন। আগের ম্যাচের সেরা শুবমান গিল এদিন করলেন ৯। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ফেরেন তিনি। ইডেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আন্দ্রে রাসেলকে তুলে আনা হয়েছিল উপরের দিকে। রাসেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। ম্যাচ জিতেছিল কেকেআর। এ দিন তাঁকে পরে নামানো হল। আগে আসা কার্তিক ও উথাপ্পা রানের গতি কমিয়ে দিলেন। মালিঙ্গার বলে ফিরলেন কার্তিক (৩)। রাসেলকেও (০) আউট করলেন মালিঙ্গা। রাসেল ফিরতেই বড় রানের স্বপ্ন শেষ কেকেআর-এর। নীতীশ রাণা একটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মালিঙ্গার বলে ঠকে গিয়ে ফিরতে হল তাঁকে। উথাপ্পা ৪৭ বলে ৪০ রান করলেন ঠিকই। কিন্তু তাতে রানের গতি বাড়ল না। উল্টে ২৫টা ডট বল খেলেন উথাপ্পা। সেখানেই নাইটদের বড় রানের স্বপ্নের সলিলসমাধি। সুনীল নারাইনকেও কেন যে ব্যাটিং অর্ডারে নীচের দিকে পাঠানো হল, তা নাইটরাই জানে।
মুম্বইয়ের হয়ে ৩৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন মালিঙ্গা৷ পান্ডিয়া নিয়েছেন ২০ রানে ২টি উইকেট৷ বুমরাহ দখল করেছেন ৩১ রানে ২টি উইকেট৷ কোনও উইকেট না পেলেও কৃপণ বোলিং করেছেন ক্রুণাল পান্ডিয়া ও মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান৷ ক্রুণাল ৪ ওভারে মাত্র ১২ এবং ম্যাকক্লেনাঘান ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ মাত্র ১৯ রান খরচ করেন৷
এ দিন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর প্রথম একাদশে রাখা হয়নি যুবরাজ সিংহকে। মুম্বই ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা জানিয়েছেন দলে দুটো পরিবর্তন আনা হয়েছে। এভিন লিউয়িসের পরিবর্তে দলে এসেছেন মিচেল ম্যাকক্লিনাঘান এবং বারিন্দর স্রানের পরিবর্তে ইষাণ কিষান। অন্যদিকে কেকেআর দলে ফিরেছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। বাদ পড়েছেন পীযূষ চাওলা।