শুধু ফ্যাশন কিংবা আরাম নয়, লিনেনের আছে আরও নানা গুণ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

এক রঙা থেকে শুরু করে বাহারি প্রিন্টের লিনেন পোশাক এখন ফ্যাশনের তুঙ্গে। বিশেষ করে গরমে লিলেন পোশাক ব্যবহারের চাহিদা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। কারণ লিনেনে মেলে দারুন স্বস্তি। অফিস থেকে শুরু করে যেকোনো উৎসব-অনুষ্ঠানে সব জায়গাতেই মানিয়ে যায় বাহারি ডিজাইনের লিনেনের পোশাক।

সুতির পোশাকের চেয়েও এখন লিনেনই বেশি জনপ্রিয় সবার কাছে। সুতির পোশাক একবার পরলেই কুচকে যায়। অন্যদিকে লিলেন কাপড় সহজে কুচকে যায় না। ঝটপট ইস্ত্রি ছাড়াই লিলেনের পোশাক পরে যেকোনো জায়গা চলে যেতে পারবেন।

সুতি ও লিলেন পোশাক চেনার অন্যতম কৌশল হলো বুননের কারসাজি। কার্পাস তুলো থেকে সুতির উৎপত্তি। অন্যকে লিনেন তিসি থেকে উৎপাদিত হলেও নানা ধাপ পেরিয়ে তৈরি হয় এর একেকটি সুতো। সুতির মতো লিনেনের বুনন বেশি টাইট হয় না, এ কারণে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে।

সালোয়ার কামিজ, স্কার্ট, টপস, লং কুর্তি, পালাজো, শার্ট, প্যান্ট সবকিছুই লিলেন দিয়ে তৈরি করা যায়। এ কাপড়ের রংও বেশ টেকসই। শুধু ফ্যাশনে নয়, লিনেনের আরও কিছু গুণ আছে। জেনে নিন লিনেনের সেসব গুণ সম্পর্কে-

লিনেনের পোশাক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই কাপড়ের পোশাক আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

লিনেনের পোশাক শরীরকে আর্দ্রতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই ধরনের পোশাকে শরীর থেকে ঘাম সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে।

শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি লিনেন ভালো তাপ পরিবহণও করতে পারে। এর ফলে শরীরে গরম জমতে পারে না। কাপড়ের মাধ্যমে বেড়িয়ে যায় তাপ।

লিনেন তাপ প্রতিফলনও করতে সক্ষম। এর ফলে অনেকটা তাপ ঢুকতেই পারেনা শরীরের ভেতরে।

লিনেন সুতি বা সিল্ক ইত্যাদির থেকে কমপক্ষে ৩-৪ ডিগ্রি কম তাপমাত্রা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও লিনেন পোশাকে সহজেই বাতাস প্রবেশ করতে পারে; তাই শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্যেও এটি ভালো।

আরও পড়ুন: বাজার কাঁপাচ্ছে বিদ্যা বালানের ওয়াইল্ড প্রিন্টের ‘শেরনি’ শাড়ি! দেখুন তো, আপনার কেমন লাগে…

লিনেন কাপড় চেনার উপায়

হাতের স্পর্শেই চেনা যায় সুতি বা লিনেন। তবে এখন কাপড়ে নানা সুতোর মিশেল থাকায় খাঁটি সুতি ও লিনেন চেনাটা কঠিন!

সুতির কাপড় কুঁচকে গেলেও একটু টেনে ধরলে ভাঁজগুলো চলে যায়। তবে আসল লিনেন অনেক বেশি কুঁচকে যায় ও তা সোজা করাও বেশ মুশকিল।

লিনেন কাপড়ের রং সুতির চেয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল হয়ে থাকে।

অনেক সময়ই লিনেনের সঙ্গে অন্য উপাদানে তৈরি সুতো মিশিয়ে দেওয়া হয়। এতে কাপড়ে চাকচিক্য বাড়ে ঠিকই তবে কাপড়ের গুণগত মান কমে যায়।

কোন সময় কোন রঙের লিনেন?

দিনের বেলা পিচ, হালকা সবুজ, গোলাপি, হালকা হলুদ, সাদা প্যাস্টেল শেডের লিনেন পোশাক পরলে ভালো লাগে। তবে পোশাকে উজ্জ্বলতার ছোঁয়া রাখতে চাইলে পোশাকের রং হালকা রেখে, নকশায় উজ্জ্বল রং বাছতে পারেন।

নকশা হতে পারে ফ্লোরাল বা জিওমেট্রিক। আর সন্ধ্যায় পিংক, ফুশিয়া রঙের শাড়ি দারুণ লাগবে। চেকড বা স্ট্রাইপড ডিজাইনের লিনেনে ভরা সন্ধ্যায় আপনি নজর কাড়বেন।

লিনেন পোশাকের যত্ন

লিনেন বেশ টেকসই ফ্যাব্রিক। কিছুদিন পরপর লিনেনের পোশাক পরিষ্কার করবেন। তবে ওয়াশিং মেশিনে লিনেন না ধোয়াই ভালো। ঠান্ডা পানিতে মাইল্ড ডিটারজেন্টে কাচার পর পানি ঝরিয়ে হালকা ভেজা অবস্থাতেই আয়রন করবেন এই ঘরানার পোশাক।

আরও পড়ুন: ববি প্রিন্টের শাড়িতে রেট্রো লুকে শিল্পা! এমন ফ্যাশন করতে পারবেন আপনিও

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest