মাছের কাঁটা একবার গলায় বিঁধলে যতক্ষণ পর্যন্ত না তা বেরোয় অস্বস্তি চলতেই থাকে। এমনকী বমি পর্যন্ত হয়ে যায় অনেকের।এই গলায় কাঁটা ফোটা হতে পারে মারাত্মক। সেখান থেকে ইনফেকশনও হয়ে যায় অনেক সময়। কাঁটা একান্ত না বেরোলে অপারেশন করতে হয়েছে, এমন ঘটনাও ঘটেছে।
কাঁটা যতক্ষণ পর্যন্ত গলায় বিঁধে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত শরীরের ভেতর একটা কষ্ট হতে থাকে। কাঁটা ভেতরে চলে গেলেও থেকে যায় গলাব্যথা। সেই সঙ্গে দু একদিন কাশিও থেকে যায়। কিন্তু তাই বলে কি মাছ খাবেন না! কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। আর কাঁটা বেছে খাওয়ার মধ্যেই মাছের আনন্দ। বোনলেস ইলিশে কি আর মাছের স্বাদ পাওয়া যায়! মাছ খেতে গিয়ে গলায় কাঁটা লাগলে প্রথমে যা করবেন।
আরও পড়ুন: প্রথম ভারতীয় হিসেবে এফ-২ রেস জিতে তেরঙা ওড়ালেন জেহান
দেখে নিন কাঁটা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
- শুকনো ভাত ভালো করে দলা পাকিয়ে মুখে দিয়ে গিলে নিন। চেবাবেন না। এভাবে কয়েকবার খেলে ভাতের আঠা মাছের কাঁটাকে নীচে নামিয়ে দেয়। তবে এই ভাত কিন্তু গিলে খাবেন। চেবাবেন না।
- বাড়িতে থাকা পাঁউরুটিতেও অনেক সময় কাজ হয়। পাঁউরুটি চিবিয়ে না খেয়ে গিলে ফেলুন। কিংবা পাঁউরুটি চটকে নিয়ে মন্ডও করতে পারেন। এরপর ওই মন্ড একবারে গিলে নিলেও ফল পাবেন।
এককাপ ইষদুষ্ণ গরম জলে এক বড় চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খান। আপেল সিডার ভিনিগারের মধ্যে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড কাঁটা গলিয়ে দেয়। খুব সমস্যা হলে আপেল সিডার ভিনিগার শুধু একচামচ খেয়ে নিলেও কাজ হয়। ভিনিগার কাঁটাকে গলিয়ে নরম করে দেয়।
- পাকা কলায় ছোট করে কামড় দিন। গিলে ফেলার চেষ্টা করুন। তবে খুব বেশি করে কামড় দেবেন না। এতেও মাছের কাটা কলার সঙ্গে নীচে নেমে যেতে পারে।
- প্রয়োজনে ইষদুষ্ণ গরম জলও খেতে পারেন। এতে কাঁটার নীচের দিকে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- পাতি লেবুতে একটু নুন মাখিয়ে নিন। এবার চুষে চুষে লেবুর রস খান। লেবুর রস জল মিশিয়ে খাবেন না। এভাবে খেতে পারলে উপকার পাবেন। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড কাঁটাকে গলিয়ে হজম করিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
- কাঁটা নরম করতে খুবই কার্যকর হল নুন। এককাপ গরম জলে এক চামচ নুন মিশিয়ে নিন। বার তিনেক খেলে কাঁটা নরম হয়ে গলা থেকে নেমে যাবে। প্রয়োজনে নুন জলে গার্গলও করতে পারেন।
আরও পড়ুন: মাত্র ৩৪ এ করোনা কেড়ে নিল অভিনেত্রী দিব্যা ভটনাগরের প্রাণ ! ফের শোকের ছায়া