#বেঙ্গালুরু: মাত্র ১৪ মাসেই জোট সরকারের পতন কর্নাটকে। আস্থাভোটে হার কুমারস্বামীর। জোট সরকারের পক্ষে ভোট ৯৯। বিরোধী পক্ষ পেল ১০৫। ম্যাজিক ফিগার ছিল ১০৩।
শনিবার পর্যন্ত আস্থা ভোটে গড়িমসি করছিলেন খোদ স্পিকার। কিন্তু, সোমবার তিনি নিজেই আস্থা ভোট করানোর নির্দেশ দেন সরকারপক্ষকে। জানিয়ে দেওয়া হয় সন্ধে ৬ টার মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবে যাবতীয় আলোচনা শেষ করে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করতে হবে। যা সরকারপক্ষকে রীতিমতো চাপে ফেলে দেয়। ডি কে শিবকুমার, সিদ্ধারামাইয়ারা লাগাতার চেষ্টা করেন গিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করার। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে শিবকুমার হুমকি দেন, বিধায়করা যদি ফিরে না আসেন তাহলে তাদের বিধায়ক পদ বাতিল করা হবে। মঙ্গলবার কংগ্রেসের পরিষদীও নেতা সিদ্ধারামাইয়া হুঁশিয়ারির সুরে জানান, যারা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, কোনও ভাবেই তাঁদের ফেরত নেওয়া হবে না৷
কিন্তু তার আগেই দুই নির্দল বিধায়কের দখল ঘিরে ধুন্ধুমার বেঙ্গালুরুতে। তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি ও কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ গিয়ে দু’পক্ষের প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বেঙ্গালুরুতে কোনও রকম জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। সোমবার পর্যন্ত দুই নির্দল বিধায়ক কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল বলেই খবর। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে তাঁদের মত পাল্টে যায়। আজ মঙ্গলবারের আস্থা ভোটে তাঁরা বিজেপির পক্ষে সমর্থন দেবেন বলে খবর রটে যায়। শুরু হয় ওই দুই কাউন্সিলরের খোঁজ। কংগ্রেস নেতারা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারেন, বেঙ্গালুরুতেই বিধানসভার কাছাকাছি রেসকোর্স রোডের একটি বাড়িতে ওই দুই কাউন্সিলরকে রাখা হয়েছে।
এর পরই শুরু হয় কংগ্রেসের ‘উদ্ধার’ অভিযান। দলের কয়েকশো কর্মী গিয়ে কার্যত ওই বাড়ি ঘিরে ফেলেন। অন্য দিকে আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। বাড়ির ভিতরে ঢুকতে গেলে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের বাধা দেন তাঁরা। শুরু হয় অশান্তি। মারধর, ধাক্কাধাক্কিতে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রেফতার করা হয় দু’দলের শতাধিক কর্মী সমর্থককে। কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকার ফেলতে বিজেপি মোটা টাকার বিনিময়ে দুই বিধায়ককে ‘কিনে’ নিয়েছে। জোর করে তাঁদের আটকে রেখেছে। যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।