সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কারও নাম না করে পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার তিনি ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। করোনা মহামারীর জন্য ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিয়মে বদল আনার কথাও তুলেছেন।
মঙ্গলবার ব্রিকস সম্মেলনের ভারচুয়াল মঞ্চে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও।সন্ত্রাসবাদ থেকে করোনার ভ্যাকসিন, বহুত্ববাদ থেকে থেকে আন্তর্জাতিক সংগঠনের সংস্কার, সবই উঠে এল ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ভাষণে। এদিন ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রনেতাদের সামনেই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনগুলির সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ৪২ লিটার বুকের দুধ দান করেছেন এই মহিলা, কিন্তু কেন এমনটা করলেন ?
সফলভাবে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। মোদী বলেন, ‘ভারতের সংস্কৃতিতে সারা দুনিয়াকে একটা পরিবার হিসেবে ধরা হয়। শান্তির জন্য সারা পৃথিবীতে ভারত থেকে সবথেকে বেশি সেনা প্রাণ দিয়েছেন।’
In 2021, BRICS will complete 15 years. Our 'sherpas' can make a report to evaluate the various decisions taken by us in the past years: PM Narendra Modi at BRICS Summit pic.twitter.com/DACP4altCD
— ANI (@ANI) November 17, 2020
প্রধানমন্ত্রী ওই সম্মেলনে বলেন, গ্লোবাল গভর্ন্যান্সের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কার্যকারিতা দুটোর উপর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর মধ্যে কোন বদল না আসা। এগুলো এখনও ৭৫ সালের পুরনো মানসিকতা আর ভাবনাচিন্তার ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।
ভারত মনে করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে বদলা আনা দরকার এবং সেটা অনিবার্য হয়ে পড়েছে। আর এ ব্যাপারে ব্রিকসের যারা সদস্য রয়েছে, তাদের সহযোগিতা চাই আমরা। তার মতে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতো আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থাও বর্তমানের বাস্তবোচিত পরিস্থিতিতে না দাঁড়িয়ে কাজ করছে। ডব্লুটিও, আইএমএফ, ডব্লুএইচও-র মতো সংস্থাগুলোর কাজকর্ম পরিচালনায় কিছু সংশোধন আনা দরকার।
এদিনের সম্মেলনে মঞ্চ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, “আজকের দুনি্য়ায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সন্ত্রাসবাদ।” নাম না করেই পাকিস্তান-চিনকে বার্তাও দিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “যে সমস্ত দেশ এখনও সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে, নাশকতাকে সমর্থন করছে তারা যেন দায়িত্ব না এড়ায়। সন্ত্রাস রুখতে তারা যেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের সমঝে দেওয়া দরকার।” এ প্রসঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, “কিছু দেশ পরিবারের কুলাঙ্গার সদস্যের মতো।”
আরও পড়ুন: ১০ বছরে ৫০টি শিশুর সঙ্গে যৌন হেনস্থার ভিডিও বিক্রি শেষে গ্রেফতার ইঞ্জিনিয়ার