নয়াদিল্লি: মোদী সরকারের দৃষ্টি কেবল ইসলামাবাদের দিকে।অন্যদিকে, ফের একবার ডোকলামে শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে চীন।দ্য প্রিন্ট সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ভারতকে চাপে রাখতে বেজিং নতুন করে ডোকলামে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।তৈরি হচ্ছে রাস্তা-হেলিপ্যাড। দেখা গিয়েছে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মিকেও।
ভুটানের কাছে ডোকলাম এলাকায় তারা সেনা স্থানান্তরের কাজ করছে যা স্পষ্ট হয়েছে স্যাটেলাইট ইমেজে। গত বছর ৭২ দিন ধরে ডোকলামে ভারত এবং চীন বিরোধিতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল। তৈরি হয়েছিল সংঘর্ষের বাতাবরণ। যদিও শেষ পর্যন্ত সব কিছু মিটমাট হয়ে যায়। তবে চীন যে এত দ্রুত হাল ছাড়ার বান্দা নয় তা অবশ্য আঁচ করা গিয়েছিল ভালোভাবেই। কিন্তু নয়া স্যাটেলাইট ইমেজে চীনের কারিগরী ধরা পরে গিয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কোন মন্তব্য করা হয়নি মোদী সরকারের ভাবখানা এমন যে নতুন করে যেন চীন কোন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা কল্পনাই করতে পারে না।রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের আগে এরকম একটা ইস্যু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাওয়া গেলে বুক বাজিয়ে ময়দানে নেমে পড়তে বিজেপি। সে ক্ষেত্রে খানিকটা ফায়দাও মিলত। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন চীন তখন অতি সাবধানে বিষয়টির মোকাবেলা করতে হবে তা না হলে আখেরে চাপে পড়তে হবে নয়াদিল্লিকে। সেসব ভেবেচিন্তা করে ডোকলাম ইস্যুটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করতে চাইছে না বিজেপি।
তবে গোটা ব্যাপারটি যতই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হোক চীন যে ক্রমশ ঢুকে আসছে তা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। একাধিকবার চীন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিন্তু বেজিংকে সামলানো এত সহজ নয়। মোদী সরকার অবশ্য চীনকে নয় পাকিস্তানকে সরাসরি শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে মরিয়া ,তাহলে নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে রেখে ভোট প্রচারে বাড়তি সুবিধা হবে।