ওয়েব ডেস্ক: খাবার তৈরি করতে আমরা নানা রকমের মসলা ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা অনেকই জানি না যে,রোজকার ব্যবহৃত মসলা গুলিতে রয়েছে চমত্কার সব ঔষধিগুণ! মসলা যে শুধু আমাদের খাবারের স্বাদ আর ঘ্রাণই বাড়ায় না, এগুলিতে রয়েছে অসাধারণ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা যা মেটাবলিজম বাড়ায়। বেশ কিছু মসলা রয়েছে যা শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের ভালো রাখে। কিছু মসলা আবার আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে। অনেকই হয়তো ওজন কমানোর পদ্ধতি জানতে মাথা কুটছেন। এবার হাতের কাছে থাকা ঘরোয়া উপদানেই মিলবে রেহাই। জেনে নিন, কোন কোন মসলা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে…
* জিরে: মাংস রান্নাতে আলাদা মজা এনে দেয় জিরে। তবে, বদ হজম,পেট ফাঁপা এবং খাবারে অরুচি সমস্যায় জিরে খুবই উপকারি। এছাড়া অর্শ সমস্যায় মিছরির সঙ্গে জিরে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। গোটা জিরে সারারাত ভিজিয়ে সকালে জলটা নিয়মিত খেলে ওজন কমে। সেইসঙ্গে বেশি খাবার খাওয়ার অস্বস্তি থেকেও জিরে জলে মুক্তি মেলে।
* এলাচ: এলাচে রয়েছে টর্পিন, টপিনিনোল, সিনিওল, এসিটেট, টপিনিল ইত্যাদি নানা রকম রাসায়নিক উপাদান। এই সব উপাদান শরীরের ফ্যাটবার্ন করতে সহায়ক। ফলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে পারে না।
* মৌরি: মৌরি আমাদের পাচনতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এটি লিভারেরও সুস্থতার জন্যেও খুব উপকারী। মৌরি মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও খুবই কার্যকর। মৌরি খিদে বোধ কমায়। ফলে ওজন স্বাভাবিক ভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* দারচিনি: ওজন কমাতে দারচিনি অত্যন্ত কার্যকর। দারচিনি চা এখন ট্রেন্ড। কারণ নিয়মিত দারচিনি খেলে খিদে কমে যায়। শুধু তাই নয়, দারচিনি শরীরের জমে থাকা মেদ গলাতেও সাহায্য করে। এটি শরীরের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। এছাড়াও, পেটের রোগ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, টায়ফয়েড, টিবি ও ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুচিনি খুবই কার্যকর।
* কাঁচালঙ্কা: কাঁচালঙ্কায় রয়েছে অ্যাকজেলিক অ্যাসিড, কিউনিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড, এস্কার্বিক অ্যাসিড, সাক্সিনিক অ্যাসিড, শিকিমিক অ্যাসিড, ফোলিক অ্যাসিড, সাইট্রিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড, মেলানিক অ্যাসিড, আল্ফা-এমিরন, ক্যান্সিডিনা, ক্যারোটিন্স, ক্রিপ্টোক্যানসিন, ফ্ল্যাভনয়েডস প্রভৃতি। এগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আর কাঁচালঙ্কার ক্যাপসিসিন খিদেও নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কাঁচালঙ্কা মেটাবলিজম বাড়িয়ে অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন করতে সহায়তা করে।
*হলুদ: হলুদের বিশেষ গুণ এই যে, এটি ফ্যাট টিস্যু তৈরি হতে দেয় না। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
* আদা: আদায় রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ! পেট পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে আদা খুবই কার্যকরী। এটি পাচনতন্ত্রে জমে থাকা খাবার পরিষ্কার করে দেয় ফলে ফ্যাট জমতে পারে না। আদার রস শরীরের জমে থাকা চর্বি দূর করতে সহায়তা করে।