প্রার্থী তালিকায় নাম নেই, ক্ষোভে পদত্যাগ করলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: প্রার্থী তালিকা পছন্দ হয়নি, সেই জন্যই কোচবিহারের বিজেপি সমর্থকরা ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। শুধু তাই নয়, ফুঁসছেন রাজ্য বিজেপির বহু নেতাও। দীর্ঘদিন সংগঠনের জন্য পরিশ্রম করলেও টিকিট পেয়ে গিয়েছেন সদ্য দলে আসা তৃণমূলের ছাঁটাই নেতানেত্রীরা। আর তাতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতানেত্রীরা। প্রথমেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগ করেছেন রাজকমল পাঠকের কাছ থেকে। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

https://www.facebook.com/rajkamal.pathak.9/posts/799347850425341

ইস্তফা দেওয়ার কারণ হিসাবে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়াকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজকমল পাঠক৷ তিনি জানান, যেভাবে প্রার্থী বাছাই হয়েছে তার প্রতিবাদ হওয়া দরকার৷ এবং সেকারণেই পদত্যাগ করেছেন৷ দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন রাজকমল পাঠক৷ খারাপ সময়েও দলের পাশে ছিলেন তিনি৷ বিজেপি সূত্রে খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হুগলি কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়তে চেয়েছিলেন রাজকমল পাঠক৷ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সেই প্রস্তাবও দিয়েছিলেন৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রার্থী ঘোষণা হতেই দেখা যায়, ওই কেন্দ্রে বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির৷ আর তাতেই বেজায় চটেছেন দলের এই পদাধিকারি৷যদিও রাজকমল পাঠকের ইস্তফা দানের বিষয়টিকে হালকা ভাবেই নিচ্ছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তিনি জানান, ‘‘একটু বিক্ষোভ হতেই পারে৷ অন্য দল থেকে এলে মানতে একটু অসুবিধা হয়৷’’ কথাবার্তার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও ইঙ্গিত দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি৷

প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিজেপির অন্দরে কোন্দল নতুন নয়৷ গত বিধানসভা নির্বাচন ও পঞ্চায়েত নির্বাচনেও প্রার্থী বাছাই নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের৷ কিন্তু এবার পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা৷ আয়তনে দল বড় হয়েছে৷ এবার কার্যত লড়াই শাসক তৃণমূল বনাম বিজেপির মধ্যে৷ এমন পরিস্থিতিতে দলের এই গোষ্ঠী কোন্দল গেরুয়া শিবিরকে অনেকটাই দুর্বল করে দিতে পারে৷ দোলের দিন লোকসভা ভোটের জন্য প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। যার মধ্যে বাংলার ২৮টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে। তাতেও গত বারের জেতা দুই আসনের মধ্যে দার্জিলিঙের জট কাটানো যায়নি। আবার কিছু আসনে প্রার্থীর নাম দেখে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দলের অন্দরেই।রাজকমল বলেছেন, যেভাবে প্রার্থী বাছাই হয়েছে তাতে প্রতিবাদ হওয়া দরকার। তাই পদত্যাগ করলাম।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest