লন্ডন: তেরো হাজার কোটি টাকার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত নীরব মোদীর জামিনের আবেদন খারিজ করল লন্ডনের আদালত। গত সপ্তাহে তাঁর গ্রেফতারির পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হল লন্ডনের আদালতে।
‘‘নীরব মোদী ভবিষ্যতে আত্মসমর্পণ না করতে পারেন, এই বিশ্বাসের পিছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে।’’ লন্ডনের আদালতের চিফ ম্যাজিস্ট্রেট এমা আরবুথটন আজ এমনটাই জানিয়েছেন। গত ডিসেম্বরে এই ম্যাজিস্ট্রেটই আরেক ঋণখেলাপি বিজয় মালিয়াকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।আদালত জামিন নাকচ করায় নীরব মোদীকে ফিরে যেতে হবে দক্ষিণ পশ্চিম লন্ডনের এইচএমপি ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেলে। গত বুধবার থেকে এই জেলেই রাখা হয়েছে তাঁকে। আগামী ২৬ এপ্রিন এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন অবশ্য ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে তিনি শুনানিতে অংশ নেবেন।
শুক্রবার লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে শুরু হয় নীরবের জামিনের আর্জির শুনানি। সেই জামিনের বিরোধিতা করতে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি তথ্যপ্রমাণ জমা দেয় সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। দুই তদন্তকারী সংস্থার পদস্থ কর্তারা এ দিন ওই সব নথিপত্র তুলে দেন লন্ডনের ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের হাতে। সিবিআই এবং ইডি-র কর্তাদের দেওয়া জমা দেওয়া নথিপত্র এ দিন আদালতে পেশ করে লন্ডনের ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস। দু’টি তদন্তকারী সংস্থারই বক্তব্য ছিল, যত দিন নীরব মোদীকে ভারতের হাতে তুলে না দেওয়া হচ্ছে, তত দিন হিরে ব্যবসায়ী যেন ব্রিটেনের জেলেই থাকেন। কারণ, জামিন পেলেই ফের গা ঢাকা দিতে পারেন নীরব মোদী।ইডি সূত্রের খবর, ভারত সরকার নীরবের পাসপোর্ট বাতিল করে দেওয়ার পরেও যে পিএনবি কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত তিন বার ব্রিটেনের বাইরে গিয়েছিলেন, লন্ডনের ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের তরফে এ দিন তা নথিপত্র দিয়ে জানানো হয় আদালতে। এর পরই তাঁর জামিন খারিজ করে দেয় লন্ডনের আদালত।
উল্লেখ্য,ওয়েস্টমিন্সটার আদালতের তরফ থেকে পরোয়ানা জারি করার পর ১৯ মার্চ মোদীকে গ্রেফতার করে স্কোটল্যান্ড ইয়ার্ড।