বন‌্ধ ঘিরে রাজ্য জুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির প্রতিবাদে ৪৮ ঘন্টার দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট। ধর্মঘটে একযোগে সামিল আইএনটিইউসি ও সিটু সহ আঠেরোটি বাম শ্রমিক সংগঠন। বনধকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বেশ কিছু
জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়৷ বন্‌ধের বিক্ষিপ্ত প্রভাব পড়েছে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে। গাড়ি ভাঙচুর, আগুন ধরিয়ে দেওয়া, জাতীয় সড়ক ও রেল অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মতো ঘটনা ঘটেছে সকাল থেকেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী নামানো হয়।

দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরের এইট বি বাসস্ট্যান্ডে মিছিল করেন বাম সমর্থকরা। পুলিশ বাধা দিলে বচসা বেঁধে যায় বনধ সমর্থকদের সঙ্গে৷ চলে ধস্তাধ্বস্তিও৷ একটা সময় রাস্তায় বসে পড়েন সিপিএম কর্মীরা৷ ছিলেন যাদবপুরের সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীও৷পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে পুলিশ গ্রেফতার করে সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীকে৷ একই সঙ্গে আটক করা হয় বেশ কয়েকজন বাম কর্মীকেও৷ এরপর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। যাদবপুর স্টেশনের রেললাইনের ওপর বসে পড়েন বন্‌ধ সমর্থকরা। রেল অবরোধ করেন তাঁরা। পরে পুলিস তাঁদের উঠিয়ে দেয়। বন্‌ধের প্রভাব দেখা যায় হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনেও। সকাল থেকে হাওড়া ব্যান্ডেল ও হাওড়া–বর্ধমান লাইনে অবরোধ শুরু করেন বন্‌ধ সমর্থনকারীরা৷ জানা গিয়েছে শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া ও রিষড়াতে বন্‌ধ সমর্থনকারীরা রেল লাইনে নেমে অবরোধ শুরু করেন। বাসুলডাঙায় লাইনের মাঝে স্ল্যাব ফেলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরই মাঝে দত্তপুকুর ও বিরার মধ্যেকার লাইন থেকে উদ্ধার হয় বোমা। পুলিসের অনুমান, বোমা মেরে লাইন উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বন্‌ধ সমর্থককারীদের। শ্রীরামপুর স্টেশনে দফায় দফায় রেল অবরোধ হলেও, পুলিস লাঠিচার্জ করে তা উঠিয়ে দেয়। বেলঘড়িয়া স্টেশনে পুলিসের সঙ্গে বন্‌ধ সমর্থককারীদের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিস বেশ কয়েকজনকে আটকও করে। অবরোধ হয় মধ্যগ্রাম–সোদপুর স্টেশনেও। রামপুরহাটে রেল অবরোধ তুলে দেয় আরপিএফ। অন্যদিকে লক্ষ্মীকান্তপুর শাখাতেও ব্যাহত হয় রেল চলাচল।
শিয়ালদহ–বারাসাত শাখায় তিন জায়গায় ট্রেন অবরোধ করা হয়৷ মধ্যমগ্রাম ও হৃদয়পুরের মাঝে রেল অবরোধ হয়। সেখানে ডাউন লাইনে কোনও ট্রেন চলছে না৷ অপরদিকে সোদপুর ও আগরপাড়া মাঝে কলা পাতা ফেলে দেওয়া হয়েছে৷ ফলে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে সেখানে। রামপুরহাট স্টেশনে ভোর রাতেই রেল অবরোধের চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে হটিয়ে দেয় রেল পুলিস।
অন্য দিকে, দুর্গাপুর, খড়্গপুর, জামুড়িয়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বামেরা। কলকাতার বন্‌ধের ছবিটাও একই রকম। বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়েছে শহরের নানা প্রান্তে। বন্‌ধ মোকাবিলায় সকাল থেকেই শ্যামবাজার, মৌলালি, গড়িয়া, ধর্মতলা-সহ কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশকে টহল দিতে দেখা যায়। যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডে বাম কর্মী-সমর্থকদের মিছিলে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের সঙ্গে। গড়িয়ায় বাসে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। বারাসতে পড়ুয়াভর্তি স্কুল বাসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি চালককেও মারধর করা হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। গোলমাল হয়েছে কলকাতার হাজরা মোড়ে, হাওড়ার কদমতলায়, বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ে।নধের সমর্থনে মিছিল বিভিন্ন জায়গায় চোখে পড়েছে। তবে মেদিনীপুরে বনধ সমর্থকদের মিছিলের পালটা পথে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বাইক বাহিনী। তারা মিছিলের পিছনে বাইকের হর্ন বাজিয়ে চলেছে প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত।নদিয়ায় সরকারি বাস রাস্তায় চলতে দেখে বনধ সমর্থকরা সরকারি বাস চালকের পোশাক ধরে টানাটানি করে বলে অভিযোগ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বারুইপুরে বনধ সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest