নিউ ইয়র্ক: ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা সম্পূর্ণ জল ঢেলে দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ।অভিনন্দনকে মুক্তি দিয়ে বিজেপির রাজনীতিতে ঠান্ডা জল ঢাললেন তিনি । এ পর্যন্ত বিষয়টি ছিল অতি পরিচিত ভারত-পাক চেনা কূটনৈতিক সম্পর্কের বাঁধনে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হঠাৎ ঘোষণা চাপে ফেলে দিলো ভারতকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ঘোষণা করলেন তাতে স্পষ্ট যে ভারত আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা পাচ্ছে না। এতে কপালে ভাঁজ ভারতের ।
ট্রাম্প সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন ভারতকে দেওয়া কয়েকশো কোটি টাকার বাণিজ্যিক সুবিধা তুলে নেয়া হবে। ঠিক কি কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন তাও তিনি জানিয়েছেন। ভারতকে দেওয়া বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধার সুবাদে কোন শুল্ক ছাড়াই ভারতের ৫.৬ বিলিয়ন ডলার সামগ্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। এরপর সেই সুবিধা প্রত্যাহার করে নিতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন ।
মার্কিন কংগ্রেসকে যে চিঠি ট্রাম্প লিখেছেন, তাতে বলেছেন ভারত এতদিন জেনারালাইজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্স এর মধ্যে ছিল এখন সেটি প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে। ভারত যখন দাবি করছে গোটা বিশ্ব তার পাশে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত পড়শি দেশকে উৎসাহিত করবে সন্দেহ নেই। অবস্থা বিবেচনা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ছিল ঠিক এই পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা না করা ।এমনটাই মনে করছেন দেশের আম আদমি থেকে রাজনীতিবিদ সকলে।
উল্লেখ্য, ভারত পাক সীমান্ত উত্তেজনার কারণে পাকিস্তানি পণ্যের উপর ২০০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেয় ভারত । এইভাবে পাকিস্তানকে চাপে রাখা নয়া কৌশল নেওয়া হয় । কিন্তু উল্টো দিক থেকে এই চাপের কৌশল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বিরুদ্ধে নিতে চলেছে তা কল্পনা করেননি কেউই। সম্ভবত ভারতের বিদেশমন্ত্রক এই ভাবে বিষয়টি ভেবে দেখেনি। তবে এখনই নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। ট্রাম্প বলেছেন, ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একই রকম সুযোগ সুবিধা দেবে কিনা সেটা আরো ভালো করে খতিয়ে দেখে তারপর কাজ চলবে। তবে ভারতের বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা এখনই বন্ধ হচ্ছে না কমপক্ষে ৬০ দিন সময় দেওয়া হবে । মার্কিন কংগ্রেসে নোটিশ দেওয়া হবে। ভারত মার্কিন পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য হলো ভারত থেকে অতিরিক্ত বাণিজ্য সুবিধা পায় না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার অর্থ চাপে ফেলে ভারতের কাছ থেকে কি অতিরিক্ত সুবিধা আদায় করে নিতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি যদিও এখন স্পষ্ট করে বলার সময় আসেনি। নয়াদিল্লির অবশ্য এখনো বিশ্বাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এরকম কড়া পদক্ষেপ নেবে না। উল্লেখ্য এই বাণিজ্যিক সুবিধা পেয়ে ভারত বছরে আড়াইশো মিলিয়ন ডলার পেত।