#কলকাতা: বৃহস্পতিবার বর্ষা পা রেখেছিল শুধু কলকাতায়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিমাঞ্চল-সহ রাজ্যের একটা বড়ো অংশে ঢুকে গেল বর্ষা। এখন শুধু বাকি উত্তর বীরভূম, উত্তর মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং দুই দিনাজপুর। তবে এই সব জায়গাতেই ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বর্ষা ঢুকে যাবে।
এমনিতে ৮ জুন বাংলায় বর্ষা ঢোকার কথা। কিন্তু এ বছর কেরলে মৌসুমী বায়ু কিছুটা দেরিতে ঢোকে। সেই হিসেবে চললেও, এত দিনে বর্ষা ঢুকে পড়ার কথা ছিল দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু আসি আসি করেও এসে পৌঁছচ্ছিল না কিছুতেই। উত্তর ভারতে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’-র প্রভাবে মৌসুমী বায়ুর গতিপথ বাধা পাচ্ছিল। গত ১৪ বছরের মধ্যে এ বারই প্রথম ২০ জুনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার দেখা মেলেনি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ প্রসাদ দাস জানান, “১৯৮৩ সালে ২৬ জুন এবং ২০০৫ সালে ২৮ জুনে এ রাজ্যে বর্ষা ঢোকার রেকর্ড রয়েছে। এ বার ২১ জুন বর্ষার আগমন ঘটল।”
খুব বেশি না হলেও, ইতিমধ্যেই কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে আসানসোলের দিকেও ভাল বৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা শহরে। তার জেরে আগামী কাল অনেকটা গরম কমবে। বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কাল বাড়বে। বাংলা ছাড়া ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়েও বর্ষা ঢুকল আজ।
এক সপ্তাহ আগেই সিকিম এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বর্ষার আগমন ঘটে। সেই থেকে লাগাতার বৃষ্টি হয়েও চলেছে উত্তরবঙ্গে। সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে তিস্তার জল ফুলেফেঁপে উঠেছে। নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টি চলবে। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।