#নয়াদিল্লি: একদিকে যেমন ধোনির অবসর নিয়ে চলছে জল্পনা, তেমনই খেলা শেষে তিনি রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন এমনটাও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। ধোনির রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনার কথা এবার জানালেন খোদ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজপি নেতা সঞ্জয় পাসোয়ান।
সঞ্জয় বলেন, “ধোনির সঙ্গে এই ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে।ধোনি আমার বন্ধু। তিনি বিশ্বমানের একজন ক্রিকেটার। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য সমস্ত রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে”। সঞ্জয় জোরের সঙ্গেই বলেন, “ধোনি বিজেপিতেই যোগ দিতে পারেন। তবে এটা অবশ্যই ক্রিকেট থেকে তাঁর অবসর নেওয়ার পর”।
সেমি ফাইনালে ভারতের হারের পর থেকেই ফের আলোচিত ধোনি। বারবার তাঁর অবসরের সম্ভাবনার কথা সামনে আসলেও, এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু জানাননি মাহি নিজে। তাঁকে ৭ নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত কোহলি নিয়েছিলেন, তাতেও বিতর্কের জন্ম হয়েছে। অনেকেই চাইছেন ধোনি থাকুন। সেমি ফাইনালের হারের পরও প্রাক্তন অজি অধিনায়ক স্টিভ ওয়া বলেছেন, ‘ধোনিকে ছাড়া কোনোভাবেই জেতা সম্ভব ছিল না।’
এই পরিস্থিতিতে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার ‘সম্পর্ক সমর্থন’ ক্যাম্পেনের সময় ধোনির সঙ্গেই দেখা করেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। ধোনি-ই ভারতীয় দলের এক মাত্র ক্রিকেটার, যাঁর সঙ্গে সে বার দেখা করেছিল শাহ। ওই ঘটনার পরেও ‘মাহি’র বিজেপি-যোগ নিয়ে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়।
সূত্রের খবর, ধোনি বিধানসভা ভোটে না দাঁড়ালেও, বিজেপি চাইছে, ধোনি তাঁদের হয়ে নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে প্রচার করুন। ধোনি-মাহাত্ম্যেই ঝাড়খণ্ডের জেএমএম, আরজেডি কিংবা কংগ্রেসকে পিছনে ফেলতে মরিয়া বিজেপি।এমনিতে, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন ডিসেম্বরে হওয়ার কথা। তবে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার সঙ্গে একসঙ্গে অক্টোবরেও এগিয়ে আনা হতে পারে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচন। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতৃত্ব ধোনিকে নির্বাচনের প্রচারে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। তাঁদের আশা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরে ধোনি-ই নির্বাচনে তাঁদের তুরুপের তাস হতে চলেছেন।
রাজনৈতিক মহলের অনুমান, আগামী বছরই ধোনির নিজের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে হয়তো তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরতে পারে বিজেপি।