অমেঠীতে গুলিতে ঝাঁজরা স্মৃতি ইরানির ঘনিষ্ঠ ও প্রচারসঙ্গী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#অমেঠী: উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন অমেঠীর বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি। বিশেষ করে বারাউলিয়া ও তার আশেপাশের এলাকায় স্মৃতি প্রচার করতে এলেই দেখা যেত সব কিছুর তদারক করছেন বারাউলিয়া গ্রামের প্রাক্তন প্রধান সুরেন্দ্র সিং। ভোটের ফলপ্রকাশের সময় দেখা যায়, এই এলাকা থেকে প্রচুর ভোট পেয়েছেন স্মৃতি। বিজেপি প্রার্থী জিতে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেই আততায়ীর গুলিতে খুন হলেন সুরেন্দ্র।

পুলিশ জানিয়েছে, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কয়েক জন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে সুরেন্দ্রর বাড়িতে আসে। তাদের প্রত্যেকের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সুরেন্দ্র তখন ঘরে শুয়েছিলেন। সেই সময়ই দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর কয়েকটি গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর চাউর হতেই গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। সুরেন্দ্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে অমেঠীর পুলিশ সুপার বলেন, “এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণ না কি ব্যব্যক্তিগত বিবাদে খুন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রকল্প ‘সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা’য় উত্তরপ্রদেশের বারাউলিয়া গ্রামটি দত্তক নিয়েছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী মনোহর পারিকর৷ সেই গ্রামের প্রধান হিসেবে ছিলেন সুরেন্দ্র সিং৷ পরবর্তী সময়ে বিজেপি নির্বাচনী প্রচারের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় বারাউলিয়া গ্রামের প্রধানের পদটি ছেড়ে দেন৷ নেমে পড়েন নির্বাচনী প্রচারে৷ তাঁর মূল দায়িত্ব ছিল, স্মৃতি ইরানির হয়ে বিভিন্ন সভা, মিছিল, বৈঠকের আয়োজন করা৷ সেই কাজে তিনি যে বেশ সফল, তার প্রমাণ আমেঠি কেন্দ্র কংগ্রেসের থেকে স্মৃতি ইরানির ছিনিয়ে নেওয়া৷ শুধু তাইই নয়, বড়সড় ব্যাবধানেই রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন স্মৃতি৷ সূত্রের খবর, সুরেন্দ্রর বাড়িতে দেখা করতে আসতে পারেন স্মৃতি ইরানি।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest