রবিবাসরীয় সকালে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় মৃদু ভূমিকম্প, কেন্দ্রস্থল বাঁকুড়া

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: রবিবার সকালে আচমকাই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বীরভূম, দুর্গাপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতে।

রবিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। আচমকাই সব কিছু কাঁপতে শুরু করে। ভয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন সবাই। তবে কয়েক সেকেন্ড পরেই কম্পন থেমে যায়। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতে এই কম্পন সবথেকে বেশি অনুভূত হয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে ততটা কিছু বোঝা যায়নি।

জানা গিয়েছে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৮। বাঁকুড়াতে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার নীচে এই ভূমিকম্পের উৎস। ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। সূত্রের খবর, কম মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম। তবে বেশ কিছু জায়গায় বাড়ি-ঘরে হালকা ফাটল দেখা দিয়েছে। কিছু জায়গায় রাস্তাতেও হালকা ফাটল দেখা দিয়েছে।

ছুটির দিন সকালে এই ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মানুষ। মৃদু ভূমিকম্প হিসেবে গণ্য হলেও, কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি ভালো দুলুনি টের পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। কয়েক সেকেন্ড কম্পন অনভূত হয়। কেঁপে ওঠে বাড়ির আসবাপত্র, পাখা, খাট-বিছানা। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে মানুষ। উল্লেখ্য, গত বছর ২৮ আগস্টও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল এই সব এলাকা। ৪.৮ মাত্রার সেই কম্পনের উৎসস্থল ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। ভূমিকম্পের ফলে চিন্তার ভাঁজ ভূতত্ত্ববিদদের কপালে। কী কারণে এই কম্পন তা বোঝার চেষ্টা করছেন তাঁরা। দক্ষিণবঙ্গের ভূভাগ বেশ পুরনো। ফলে সহজে সেখানে অস্থিরতা দেখা দেয় না। কিন্তু তারপরেও কেন এই ভূমিকম্প হলো, তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest