ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা, মমতার আহ্বানে শর্তসাপেক্ষ সাড়া দিতে রাজি গৌতম দেব

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#কলকাতা: কেন্দ্রে ধর্মনিরপেক্ষ ঐক্যবদ্ধ শক্তি গড়ে বিজেপিকে রুখতে একযোগে কংগ্রেস ও সিপিএম-কে তৃণমূলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমন বার্তা নিয়ে বিশদ জলঘোলা হলেও সদর্থক কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কোনো দলকেই। তবে বুধবার সিপিএমের সদর দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে উপস্থিত হয়ে সেই আহ্বানেরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন দলের প্রবীণ নেতা গৌতম দেব।

বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর বিরোধী হিসাবে পরিচিত গৌতম দেব৷ চাঁচাছোলা ভাষায় বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সমালোচনা করেন তিনি৷ কিন্তু বুধবার একেবারেই অন্য রূপে দেখা গেল তাঁকে৷ এদিন আলিমুদ্দিনে গৌতমবাবুর কাছে প্রশ্ন ছিল, আপনি বলেছিলেন, মমতাকে বাঁচতে সিপিএমের কাছে আসতে হবে। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর আপনার ভবিষ্যত্ বাণী মিলে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় সিপিএমের পার্টি অফিস খোলাচ্ছে তৃণমূল। তাদের বন্ধুত্বের হাত কি ধরবে সিপিএম?  সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব গৌতম দেব বলেন, “রাজনীতি সব সময়ই সম্ভাবনার খেলা। এখানে কেউ অস্পৃশ্য নয়। মমতার হাত ধরার ব্যাপারে হ্যাঁ বা না কিছুই বলছি না। তবে মমতাকে এখনো অনেক কিছু করতে হবে। আমাদের শর্ত মানলে তবেই তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা সম্ভব”।

প্রসঙ্গত, চলতি বিধানসভার অধিবেশনেই বাম-কংগ্রেসকে উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “মান্নান ভাই, সুজনদা, চলুন আমরা একসঙ্গে লড়ি। বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের একসঙ্গে আসা দরকার। বিজেপিকে ঠেকাতে জোটবদ্ধ হন।” স্পষ্ট ভাষায় মমতা বলেন, “বিজেপিকে রুখতে আমাদের একজোট হতে হবে। কেন্দ্রে যেভাবে আমরা সমস্ত ইস্যুতে কংগ্রেসের পাশে থাকি। এরাজ্যেও তেমনটাই হওয়া উচিত।” প্রত্যাশিতভাবেই বাম এবং কংগ্রেস দুই দল মমতার এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন। বামেদের তরফে সুজন চক্রবর্তী এবং কংগ্রেসের তরফে আবদুল মান্নান দু’জনেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলের জন্যেই রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত। কিন্তু সেই সম্ভাবনা জিইয়ে রেখে গৌতম দেব অন্য পথে পা বাড়ালেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য দলে সক্রিয়তা ক্রমশ কমতে থাকায় রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গৌতম দেব এই বার্তা দলে কতটা ছড়িয়ে দিতে পারবেন, বা শীর্ষ নেতৃত্ব কতটা তাঁর মতামত গ্রহণ করবে, তা নিয়ে সংশয় বিস্তর৷

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি-র প্রশ্নে এখন তৃণমূলের অবস্থান যা, সিপিএমের-ও তাই। কিন্তু সিপিএমের লাইন আবার বিজেপি-তৃণমূল একই মুদ্রার এ পিঠ ও পিঠ। রাজনৈতিক লড়াই লড়তে হবে দুই শক্তির বিরুদ্ধেই। কিন্তু গৌতমের এ দিনের মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই জলঘোলা হতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest