#কলকাতা: কেন্দ্রের পথে হেঁটে এবার রাজ্যেও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্তে মঞ্জুরি দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর পড়েছে। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পার্থবাবু জানান, বেশ কয়েকটি শর্ত পূরণ করলে তবে মিলবে এই সংরক্ষণ। তাছাড়া বর্তমানে যাঁরা SC, ST সংরক্ষণ পাচ্ছেন তাঁরা এই সংরক্ষণের আওতাভুক্ত হবেন না। এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেন তিনি। তবে রাজ্যের সংরক্ষণের ধাঁচ যে কেন্দ্রের থেকে আলাদা তা বলতেও ভোলেননি তিনি।
সাংবিধানিক ব্যবস্থা অনুযায়ী ৫০ শতাংশের বেশি আসন সংরক্ষণ করার অনুমতি ছিল না। সেই কারণে, গত ৬ ও ৭ জানুয়ারি সংসদে সংবিধানের ১২৪ তম সংশোধনী বিল পাশ করে মোদী সরকার। তাতে বলা হয়, তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য যে সংরক্ষণ রয়েছে, তা বহাল থাকবে। তার উপর আরও ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হবে আর্থিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য। কেন্দ্রের নতুন আইনে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যও এই নিয়ম বলবৎ হবে।
কেন্দ্র সংবিধান সংশোধন বিল পাশ করানোর পর ৫০ শতাংশ রাজ্যে বিধানসভায় তা পাশ করাতে হয়। সেই কাজ অধিকাংশ রাজ্যই করে ফেলেছিল। ফলে গত ৬ মাসে সর্বভারতীয় স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং বা ডাক্তারি পড়াশোনার প্রবেশিকা পরীক্ষায় সেই সব রাজ্যের আর্থিক ভাবে অনগ্রসর ছেলেমেয়েরা সংরক্ষণের সুবিধা পায়। কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ দফতরের তরফে বলা হয়েছিল, এ জন্য কোনও প্রার্থী তাঁর জেলার জেলাশাসক বা মহকুমা শাসকের থেকে শংসাপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিলটি পাশ করানো না হওয়ায় বাংলার ছেলেমেয়েরা সেই সুবিধা পায়নি বলে অভিযোগ। অনেকের মতে, লোকসভা ভোটের আগে মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ ছিল একেবারেই রাজনৈতিক। ভোটে এর সুবিধা তুলতে চেয়েছে বিজেপি। হতে পারে বাংলায় বিজেপি যাতে এই নব্য সংরক্ষণ বিধির জন্য কোনও রাজনৈতিক সুবিধা না পায়, সেই কারণে চুপ করে বসেছিল নবান্ন। ভোট মিটে যাওয়ার পর এখন তা বাস্তবায়ন করতে নেমেছে।