কলকাতা : ডিএ মামলায় ফের বড় জয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের।বৃহস্পতিবার রাজ্যের রিভিউ পিটিশন বা রায় পুর্নবিবেচনার আরজি খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, যে রায় দেওয়া হয়েছিল তা পুনর্বিবেচনার কোনও প্রশ্ন নেই।তবে কেন্দ্রীয় সরকারি ও এ রাজ্যের যেসব সরকারি কর্মচারীরা ভিন রাজ্যে কাজ করেন, তাঁদের মতোই এ রাজ্যে কর্মরতরাও একই হারে ডিএ পাবেন কিনা, সেই বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাট।আগামী ১৩ মার্চ ডিএ মামলায় রায়দান করবে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল।
বকেয়া ডিএ দেওয়া এবং তার হার নিয়ে হাইকোর্টে মামলা রুজু করেছিল কর্মচারী সংগঠনগুলি। ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে সেই মামলার রায় ঘোষণা করে মামলাটিকে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (স্যাট) পাঠিয়ে দেয় বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এবং বিচারপতি শেখর ববি সরাফের ডিভিশন বেঞ্চ। গত বছরের ৩১ অগস্ট ওই মামলায় হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় যে, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীদের অধিকার। কিন্তু কী হারে ডিএ দেওয়া হবে, বছরে তা ক’বার দেওয়া হবে— সে সব স্থির করার ভার স্যাটকেই দেয় হাইকোর্ট। মামলার নিস্পত্তি করতে দু’মাসের সময়সীমাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সেখানে ডিএ কর্মচারীদের আইনি অধিকারের পাশাপাশি আদালত আরও একটি বিষয় উল্লেখ করেছিল, এ রাজ্যের কর্মচারীরা দিল্লি বা চেন্নাইতে থাকা কর্মচারীদের হারে ডিএ পাবে না কেন? এই প্রশ্ন নিয়ে স্যাট-এ মামলা চলাকালীনই রাজ্যের তরফে বিচারপতি হরিশ ত্যান্ডন এবং শেখর ববি সরাফের এজলাসে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায়। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি শেষ হয়। এ দিন পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে মামাওলাটিকে ফের স্যাটে পাঠিয়ে দেয় আদালত।
স্যাটে সেই মামলার শুনানি যখন শেষের দিকে, তখন রাজ্য সরকার ফের হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন ফাইল করে। রাজ্য সরকারের পক্ষে আবেদন করা হয়, ‘ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীদের অধিকার’— এই রায় পুনর্বিবেচনা করা হোক। রাজ্য সরকারের তরফে স্যাটকে জানানো হয়, হাইকোর্টে মামলাটি বিচারাধীন। হাইকোর্ট যত ক্ষণ না রায় দিচ্ছে, তত ক্ষণ যেন স্যাট রায় ঘোষণা না করে। রাজ্য সরকারের ওই রিভিউ পিটিশনের প্রেক্ষিতে স্যাটও রায়দান স্থগিত রাখে।এ দিন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন রাজ্য সরকারের পিটিশন খারিজ করে দিয়ে জানান, মামলার সময়ে রাজ্য সরকার আদালতে তাদের বক্তব্য জানানোর যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছে। আর নয়! এখন ফলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ প্রাপ্তি আর সময়ের অপেক্ষা মাত্র।