লখনউ: উত্তরপ্রদেশে ফের সাংবাদিক হেনস্থা। শামলি জেলায় একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার খবর কভার করতে গিয়েছিলেন নিউজ ২৪ টিভির সাংবাদিক অমিত শর্মা। কিন্তু খবর কভার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে মার খেতে হয় অমিতকে। ঘটনাটির ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ধীমানপুরায় একটি মালগাড়ির লাইনচ্যূত হওয়ার ঘটনার খবর করতে গিয়েছিলেন স্থানীয় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ওই সাংবাদিক। পুলিশের বিরুদ্ধে খবর করা হচ্ছে, এই অভিযোগে ওই সাংবাদিককে চড়, থাপ্পড়, কিল, ঘুঁষি তো মারা হয়, ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় মাটিতে। হাত থেকে কেড়ে নিয়ে আছড়ে ভাঙা হয় ভিডিও ক্যামেরা। তার পর জামার কলার ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গিয়ে সেই সাংবাদিককে পোরা হয় গারদে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের শামলির ঘটনা। সারা রাত গারদে আটক করে রাখা হয় ওই সাংবাদিককে। ঘটনাস্থলে থাকা অন্য সাংবাদিকরা বাধা দিতে গেলে, তাঁদের সঙ্গেও তর্ক করতে দেখা যায় জিআরপির ওই অভিযুক্ত স্টেশন হাউস অফিসারকে। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার জেরে বুধবার তিনি ছাড়া পান। জিআরপির অভিযুক্ত স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) রাকেশ কুমার ও তাঁর সঙ্গী কনস্টেবল সঞ্জয় পওয়ারকে সাসপেন্ড করেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিংহ।
পরে লিখিত অভিযোগে সেই সাংবাদিক বলেছেন, ‘‘সাদা পোশাকে ছিলেন জিআরপির পুলিশকর্মীরা। গারদে পোরার পর আমার জামাকাপড় খুলে নেওয়া হয়। আমার মুখে প্রস্রাব করেন পুলিশকর্মীরা।’’
সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, গারদের ভিতর থেকে জিআরপির অফিসার রাকেস কুমারকে লক্ষ্য করে অভিযোগ করছেন ওই সাংবাদিক। আর সামনে একটি চেয়ারে বসে রাকেশ গারদে আটক সাংবাদিকের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে টুইট করার দায়ে সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়াকে গ্রেফতারের জন্য এক দিন আগেই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। ওই সাংবাদিককে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।