নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: পঞ্জিকামতে আষাঢ় শুরু হয়ে গেছে। প্রকৃতিতেও বাজতে শুরু করেছে বাদলা দিনের গান। বৃষ্টি বলে তো আর ঘরে বসে থাকার জো নেই। নানা কাজে নানান জনকে তো বাইরে বের হতেই হবে। আর বের হতে গেলেই গা–মাথা ভিজে একাকার। বৃষ্টির জলে নিয়মিত চুল ভেজালে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা।
আমরা সবাই জানি যে, বৃষ্টির জলে একধরনের অ্যাসিড থাকে। দীর্ঘ সময় চুলে এই জল লেগে থাকলে চুলের ক্ষতি হয়। এ ছাড়া ঘামে ভেজা বা বৃষ্টির জলে ভেজা চুল দীর্ঘ সময় ধরে না শুকানোর ফলে মাথার ত্বকে স্যাঁতসেঁতে ভাব তৈরি হয়। যাতে একধরনের ছত্রাকের জন্ম হয়ে পরবর্তী সময়ে চুলের গোড়ায় সংক্রামণ হয়, খুশকি হয়, চুল পড়ে যায়, চুলের আগা ফেটে যায়, রুক্ষ হয়ে পড়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ সময় নিয়মিত শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, তেল ম্যাসাজ ছাড়াও চুলের জন্য আরও বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়। বর্ষায় চুলের যত্নের জন্য ঘরোয়া কিছু প্যাক ব্যবহার করা ভালো।
বর্ষায় চুলের যত্নে ঘরোয়া প্যাক
- ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল, ১ কাপ কাঁচা দুধ, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মাস্ক ১৫-২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- ১টি পাকা অ্যাভোকাডো, ১ টেবিল চামচ জলপাই তেল ও সিকি কাপ কাঁচা দুধ মিশিয়ে আধা ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন। ঠান্ডা বা কুসুম গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।
- ৪ থেকে ৫ টেবিল চামচ কাঠবাদামের দুধ, ১ থেকে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ১ টেবিল চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন।
- শুষ্ক চুল হলে ২টি ডিমের কুসুম এবং তৈলাক্ত চুল হলে ২টি ডিমের সাদা অংশ, ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল, ১ কাপ কাঁচা দুধ, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মাস্ক ১৫-২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- ৩-৪টি স্ট্রবেরি, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট এই মাস্ক চুলে লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুতে হবে।
- প্রাকৃতিক নিয়মে চুলে উজ্জ্বলতা বাড়াতে চাইলে মেথি পিষে নিয়ে সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে পরদিন ছেঁকে নিয়ে শুধু জলটুকু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একটি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। একটি কলা আর কয়েক চামচ অ্যাভোকাডো একসঙ্গে মিশিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে বৃষ্টি দিনের এই স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াতেও চুল থাকবে ঝরঝরে।