বিজেপিবিরোধী খ্যাতনামা আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ-র বাড়ি, অফিসে সিবিআই তল্লাশি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#নয়াদিল্লি: বিদেশ থেকে টাকা পাওয়ার যে আইন রয়েছে, সেই আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে সিবিআই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তল্লাশি শুরু করেছে খ্যাতনামা আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ এবং তাঁর স্বামী আনন্দ গ্রোভারের বাড়িতে। উল্লেখ্য, বিজেপি বিরোধী হিসেবেই পরিচিত ইন্দিরা।

এ দিন ভোর পাঁচটা থেকে তল্লাশি শুরু হয় দিল্লির নিজামুদ্দিন অঞ্চলে ইন্দিরার বাড়িতে। একই সঙ্গে মুম্বইয়ে তাঁর অফিসেও তল্লাশি শুরু হয়। কিছু দিন আগেই আনন্দ গ্রোভার এবং তাঁর এনজিও ‘লয়ার্স কালেক্টিভ’-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে এফআইআর দায়ের করেছিল, সেখানে সরাসরি অভিযুক্ত হিসেবে ইন্দিরার নাম করা হয়নি। কিন্তু টাকা নয়ছয়ের ক্ষেত্রে তাঁর হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় জানানো হয়, ‘লয়ার্স কালেক্টিভ’ থেকে ৯৬.৬৪ লক্ষ টাকা নিয়েছেন ইন্দিরা।

অন্য দিকে আনন্দ গ্রোভার এবং তাঁর এনজিও-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিদেশ থেকে টাকা পাওয়ার আইন লঙ্ঘন করে অনেক বেশি টাকা নিয়েছে তারা। সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ৩২ কোটি টাকা বিদেশ থেকে এসেছে। এই আইন লঙ্ঘনের ব্যাপারটি ২০১০ সালে প্রথম সিবিআইয়ের নজর আসে বলে জানানো হয়। দিল্লি ও মুম্বইয়ের কোন কোন এলাকায় দুই আইনজীবীর বাড়ি ও অফিসগুলিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, সিবিআই অফিসাররা অবশ্য তা বিশদে জানাতে চাননি।

এ দিন সকালে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহকে টেলিফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমার দিল্লি ও মুম্বইয়ের বাড়ি ও অফিসগুলিতে রয়েছেন সিবিআই অফিসাররা। ওঁরা তল্লাশি চালাচ্ছেন।  তল্লাশি চলার সময়েই একটি সংবাদ সংস্থার তরফে আইনজীবী গ্রোভারকে টেলিফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে এখন বিরক্ত করবেন না। এখন সিবিআই অফিসাররা আমার এখানে রয়েছেন।’’

তবে আইনজীবীদের সংগঠনের তরফে সিবিআইয়ের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এই মর্মে ইন্দিরা, আনন্দ এবং ‘লয়ার্স কালেক্টিভ’-এর তরফ থেকে আগে প্রেস বিবৃতিও দেওয়া হয়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক অভিসন্ধিই দেখছে বিরোধীরা। ইন্দিরা জয়সিংহ বিজেপিবিরোধী হিসেবেই পরিচিত। ফলে এই তল্লাশির পেছনে সেটাও একটা কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, “প্রবীণ আইনজীবীদের বাড়িতে যে ভাবে তল্লাশি হচ্ছে, তার বিরোধিতা করছি। আইন আইনের পথেই চলুক, কিন্তু যে ভাবে দুই প্রবীণকে হেনস্থা করা হচ্ছে, সেটা যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছাড়া আর কিছুই নয়, তা স্পষ্ট।”

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest