নয়াদিল্লি: সব কিছু ঠিকঠাক চলছে না নির্বাচন কমিশনে। আর তা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেওয়া ক্লিন চিটের পরিপ্রেক্ষিতেই। এনডিটিভি সূত্রে খবর, মতান্তরের ফলে কমিশনের পূর্ণ বেঞ্চের বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন না নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা।
উল্লেখ্য, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা ছাড়াও তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনে রয়েছেন দুই কমিশনার সুশীল চন্দ্র এবং অশোক লাভাসা। সাধারণত, কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তিন সদস্যের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে আসা সিদ্ধান্তই ঘোষণা করে কমিশন। তবে সব সদস্য ঐক্যমত্যে না এলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্তকেই কমিশনের সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য করা হয়। লাভাসার অভিযোগ, তাঁর মতামত কানেই তুলছে না কমিশন। আর সেই কারণেই কমিশনের পূর্ণ বেঞ্চের বৈঠকেও আর উপস্থিত থাকছেন না তিনি। গত ৪ মে এই ব্যাপারেই অরোরার কাছে একটি চিঠি দেন লাভাসা। সেখানে তিনি বলেন, “আমার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়াই হচ্ছে না। এমনটা হলে কমিশনের বৈঠকে আমার হাজিরার আর কোনো মানেই নেই।” তিনি আরও যোগ করেন, “কমিশনের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হচ্ছি।”
উল্লেখ্য, ভোটের প্রচারে মোদীর বিরুদ্ধে একাধিক বার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। কখনও সেনার নামে ভোট চেয়ে বিতর্ক বাড়িয়েছেন মোদী, তো কখনও খেলেছেন মেরুকরণের তাস। এই বিষয়ে একাধিক অভিযোগ কমিশনের জমা পড়লেও সব ক্ষেত্রেই মোদীকে ক্লিন চিট দিয়েছে কমিশন। লাভাসার অভিযোগের ভিত্তিতে অবশ্য এটা প্রমাণিত হচ্ছে, এই সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে, ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে নয়।