কিছুদিন আগেই রেল মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, রাজধানী, শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনের বেসরকারিকরণের কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯ শে জুন সর্বভারতীয় ইংরেজি নিউজ পোর্টাল ‘News Click’এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও দাবি করা হয়েছে, প্যাসেঞ্জার ট্রেনে বেসরকারি চালক নিয়োগের ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দেশের বেশকিছু শহরে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চালক নিয়োগের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে নিলামে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছে রেল মন্ত্রক। এছাড়াও রেলের টিকিটের দায়িত্বও বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে মোদী সরকারের।
এর আগে রেলে ক্যাটারিং সার্ভিস, ট্রেন ও প্ল্যাটফর্ম পরিষ্কার রাখা বা লন্ড্রি সার্ভিসে ঘুরিয়ে বেসরকারিকরণ করেছে রেল মন্ত্রক। এবার ট্রেন চালানোর ভারও বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়ে, বড় রকমের বেসরকারিকরণের পথে যাচ্ছে কেন্দ্র বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ। বেশ কয়েক বছর ধরে রেলে কর্মসংস্থান কমেছে। যাত্রী পরিষেবা ঠিকঠাক রাখতে যত কর্মী দরকার, আছে তার থেকে অনেক কম। এই পরিস্থিতিতে রেল পরিষেবা ঠিক রাখতে, ক্রমশ বেসরকারিকরণের পথে যাচ্ছে মোদী সরকার। সেক্ষেত্রে ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি পাবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৭ সালে এনডিএ সরকারের তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু মন্তব্য করেছিলেন, দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য সাধারণ মানুষের প্রধান ভরসা ট্রেন। তাই এর বেসরকারিকরণের পথে যাবে না সরকার। ২০১৮ সালে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও রেলের বেসরকারিকরণের জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছিলেন, আপাতত বেসরকারিকরণের কোনও পরিকল্পনা নেই, ভবিষ্যতেও হবে না।
সম্প্রতি নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারপার্সন রাজীব কুমার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় মোদী সরকারের ১০০ দিনের মধ্যে দেখতে পাওয়া যাবে ‘বিগ ব্যাং রিফর্মস’। প্রায় ৪২ টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
আগামী এক মাসের মধ্যেই আদানি গোষ্ঠীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ৬ টি বিমানবন্দর তুলে দেওয়া হবে। এবার রেলের বেসরকারিকরণের ব্যাপারেও কেন্দ্র অনেকটাই এগিয়েছে বলে সুত্রের খবর। যদিও সরকারিভাবে এখনই কিছু ঘোষণা করা হয়নি।