সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ভুয়ো দাবি, লস্করের দুই মূল সংগঠনকে নিষিদ্ধ করল না পাকিস্তান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ইসলামাবাদ: লস্কর-এ-তইবাকে নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকায় রাখলেও, লস্করের মূল দুই প্রকাশ্য সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া (জেইউডি) এবং ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত ফাউন্ডেশনকে (এফআইআইএফ) কে নিষিদ্ধ তালিকার বাইরেই রাখল পাকিস্তান। সোমবার পাকিস্তানের ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম অথরিটি(এনসিটিএ)-র প্রকাশ করা নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকায় নাম নেই লস্কর-এ-তইবা প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সঈদের এই দুই সংগঠনের।

১৯৮৭ সালে লস্কর-ই-তৈবা তৈরি করেছিলেন হাফিজ সইদ। ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা এবং আন্তর্জাতিক ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়া হাফিজের সংগঠনকে পাকিস্তান নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। কিন্তু হাফিজ সইদ পত্রপাঠ বদলে দেন সংগঠনের নাম— জামাত-উদ-দাওয়া নামে কাজ শুরু করে তাঁর লোকজন। ২০০৮ সালে সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধ হয়েছিল জামাত-উদ-দাওয়া। আবার নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নামতে পারে জেনে ফালাহ-ই-ইসানিয়ত নামে আর এক ব্যানার বানিয়ে ফেলেন হাফিজ। সেই ব্যানারে চলতে থাকে সন্ত্রাসের বীজ বপনের কাজ। ২০১৮ সালে জামাত-উদ-দাওয়া এবং ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত ফাউন্ডেশনকেও পাকিস্তান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সঙ্গে সঙ্গে দু’টি নতুন নাম বাজারে এনেছেন হাফিজরা— আল মদিনা এবং আইসর ফাউন্ডেশন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানকে পাঠানো একাধিক ডসিয়েরে ভারত অভিযোগ করেছিল, লস্করের প্রাণ শক্তি হল জামাত-উদ-দাওয়া। ওই সংগঠন আদতে লস্করের প্রকাশ্য সংগঠন এবং সেখান থেকেই লস্করকে অর্থ থেকে শুরু করে সমস্ত সুযোগ সুবিধা যোগান দেওয়া হয়।ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ভারতের। পাক সরকারের এনসিটিএ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে,হাফিজ সঈদের ওই দুই সংগঠনকেই পাকিস্তানের সন্ত্রাস বিরেধী আইনে নজরদারির তালিকায় রাখা হয়েছে।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest