কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজতেই ব্রিগেডে মোদীর সভা ঘোষণা করেছে বিজেপি। আগামী ৩ এপ্রিল, বুধবার পশ্চিমবঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিনই শিলিগুড়ি ও কলকাতায় সভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। মোদীর ব্রিগেড সভা ঘিরে ইতিমধ্যে সাজো সাজো রব বিজেপির অন্দরে। চৈত্রের ঠাঁ ঠাঁ রোদ থেকে সমর্থকদের বাঁচাতে গোটা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড সামিয়ানায় ঢাকার পরিকল্পনা করেছে তারা।
এর আগে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল সব দলই ব্রিগেড করেছে, কিন্তু ছাউনি দেওয়ার ভাবনাটা এর আগে কোনও দলই ভাবেনি। এমনকী ২০১৪ সালে মোদির সভাতেও ছাউনি দেওয়া হয়নি ব্রিগেডে। কিন্তু এবার সেটাই করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি।বিজেপির তরফে জানা গিয়েছে, আগামী ৩ এপ্রিল ব্রিগেডে ১০ লক্ষ লোক জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে তারা। আর চৈত্রের রোদ থেকে সমর্থকদের বাঁচাতে অ্যালুমিনিয়ামের পাত দিয়ে গোটা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ছাউনি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, চৈত্রের গরম। মাঠে ১০ লক্ষ মানুষ আসবেন। তাঁরা যাতে গরমে কষ্ট না পান তাই মাথায় ছাউনির ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। সেনা যদি অনুমতি দেয় তাহলে ছাউনি দেওয়া হবে। পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থাও করতে হবে।
দলীয় সূত্রে খবর, মাঠ ঢাকতে অ্যালুমিনিয়ামের ছাউনি দিয়ে ঢেকে ফেলা হবে সেনার অনুমতি পেলে। ইতিমধ্যেই দিল্লি ও ঝাড়খণ্ড থেকে ছাউনির মালপত্র আনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে, এবার ছাউনি দেওয়ার ব্যপারে সতর্ক গেরুয়া শিবির। কোনওভাবেই যাতে মেদিনীপুরের সভার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতারা রেকর্ড জমায়েতের দাবি করছেন, তাই ধাক্কাধাক্কিতে ছাউনির উপর চাপ পড়বেই। তাই ছাউনি যাতে শক্তপোক্ত হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এদিকে আগামী ২৯ মার্চ রাজ্যে আসতে পারেন অমিত শাহ। রায়গঞ্জ এবং কোচবিহারে জোড়া সভা করতে পারেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি৷
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে গরমকে অছিলা করে আসলে ব্রিগেডের সভায় নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার আগাম ব্যবস্থা করছে বিজেপি। দূর থেকে যাতে ফাঁকা ব্রিগেডের ছবি তোলা না যায় তাই গোটা মাঠ ঢেকে ফেলার পরিকল্পনা করেছে তারা।