কলকাতা: বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯৯ কিমি। শহরের ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী কালবৈশাখী আছড়ে পড়ল শহর কলকাতায়। শহরের পাশাপাশি প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে।
শুক্রবার সকাল থেকেই ঝড়বৃষ্টির জন্য অনুকূল হয়ে উঠেছিল রাজ্যের আবহাওয়া। এ দিন দুপুরের পর থেকেই কালবৈশাখী শুরু হয় রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায়। তার পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর কালবৈশাখী হানা দেয় কলকাতায়। এ দিন জোড়া কালবৈশাখী হয়েছে শহরে। সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রথম ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০ কিমি। এর পরে ৭:৫৫ নাগাদ ৯৯ কিমি বেগে হাওয়া বয়ে যায় শহরের ওপর দিয়ে।এ দিন দুপুরের পর থেকেই ঝাড়খণ্ডের ছোটোনাগপুর মালভূমি অঞ্চলে বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি হয়। সেই মেঘ থেকেই উৎপত্তি হয় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়ের। তার পরেই আলিপুর আবহাওয়া দফতর এবং বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আল্টিমা সতর্ক করে জানিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা।
কালবৈশাখীর ফলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়েছে। পুরসভা কর্মীরা সেই গাছ সরাতে রাস্তায় নেমে পড়েছে। অন্য দিকে শিলাবৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের কিছুকিছু অঞ্চলে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পটাশপুরে শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে চাষাবাদে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বাজ পড়ে বিপত্তি হয়েছে হুগলির রিষরারায়। সেখানে বাজের ফলে একটি বাড়িতে আগুন ধরে যায়।