#কলকাতা: ফণী চলে যাওয়ার পরে আতঙ্কিত হওয়ার মতো একটি কথা বলেছিলেন বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের এক আবহাওয়া বিজ্ঞানী। জানিয়ে ছিলেন মে’র শেষ দিকে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় বা গভীর নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। কলকাতায় অবস্থিত বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আল্টিমাও জানিয়েছিল, মে’র শেষ দিকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
সেই পথেই এ বার সম্ভবত হাঁটতে চলেছে বঙ্গোপসাগর। কারণ নতুন একটি নিম্নচাপ তৈরির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সাগরে। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর এখনও কিছু না বললেও, এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ওয়দার আল্টিমা। ওয়েদার আল্টিমার সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে আন্দামান সাগর লাগোয়া বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। ক্রমে সেটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানাচ্ছে সংস্থাটি। তবে তার পর ওই নিম্নচাপের আচরণ কী হবে, সেই ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি।
এই ব্যাপারে ওয়দার আল্টিমার কর্ণধার রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা বলেন, “নিম্নচাপটি আন্দামান সাগরে তৈরি হয়ে উত্তর দিকে উঠতে থাকবে। ফলে প্রাথমিক ভাবে তার প্রভাবে থাইল্যান্ড এবং মায়ানমার উপকূলে ভালো বৃষ্টি হবে।” তবে বাংলায় তার প্রভাব কতটা পড়বে, বা আদৌ পড়বে কি না, সেই ব্যাপারে এখনও খোলসা করে কিছু বলেননি তিনি। বর্ষার আগে এই ধরনের নিম্নচাপ তৈরি হলে দু’ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। যদি সে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হয়, তা হলে বৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি সে বর্ষাকে ত্বরান্বিত করবে। আর যদি সে দুর্ভাগ্যবশত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তা হলে যাবতীয় জলীয় বাষ্প নিজের কাছে টেনে নেবে এবং যার ফলে অনাবৃষ্টির পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতে পারে। তবে আপাতত এই নিম্নচাপের প্রভাবে বর্ষার গতিপ্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনাই দেখছেন রবীন্দ্রবাবু।