নয়াদিল্লি: আত্মঘাতী ‘বয়েস লকার রুম’ গ্রুপের সদস্য দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। গুরুগ্রামের ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ রয়েছে। বুধবার সকালে নিজের আবাসনের ১১ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে গুরুগ্রামের ১৪ বছরের এক কিশোর ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলেটির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিল এক কিশোরী। ‘বয়েস লকার রুম’ গ্রুপের ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে স্কুলছাত্রীদের ধর্ষণের বিষয়ে ছাত্রদের কথোপকথন নিয়ে যখন দেশ তোলপাড়, তখনই এই ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন: আরোগ্য সেতুতে গোপনীয়তা ফাঁস! দাবি হ্যাকারের, জল্পনা ওড়াল কেন্দ্র
পুলিশ জানিয়েছে, বয়েজ লকার রুমের ঘটনা সামনে আসার পরই এক কিশোরী নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে ‘Me Too’ পোস্ট করে অভিযোগ আনে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে। তার পরই গুরুগ্রামের কিশোর একটি অ্যাপার্টমেন্টের ১১ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশের এক অফিসার জানিয়েছে, ‘কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তবে কিশোরের মোবাইলের মেসেজ রিট্রিভ করে জানা গিয়েছে, বয়েজ লকার রুমের সদস্য এক কিশোর ছেলেটিকে মেসেজে জানিয়েছিল যে তাকেও পুলিশ জেরা করবে।’
বয়েস লকার রুম ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে একটি গ্রুপ। যেটি সম্প্রতি দিল্লি পুলিসের সাইবার শাখার দুঁদে গোয়েন্দা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের নাড়িয়ে দিয়েছিল। এই গ্রুপটি ছিল মূলত দিল্লির নামিদামি স্কুলের দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের। স্কুলছাত্রীদের ধর্ষণ নিয়ে এই গ্রুপে রগরগে আলোচনা হত।
রবিবার জানা যায়, মানসিক বিকৃতি সম্পন্ন একদল যুবক ইনস্টাগ্রামে নিজেদের একটি গ্রুপ তৈরি করেছে। সেই গ্রুপের ফলাও করে নাম রেখেছে ‘বয়েস লকার রুম’। কিন্তু তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হল স্কুলছাত্রীদের গণধর্ষণ।
কীভাবে গণধর্ষণ হয় বা করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করে তারা। সম্প্রতি একটি মেয়ে ট্যুইটারে তাদের সেই কীর্তিকলাপ ফাঁস করে। তাদের কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই গ্রুপের ছেলেদের সকলেরই বয়স ১৭ থেকে ১৮ এর মধ্যে। মেয়েদের ছবি বিকৃত করে গণধর্ষণই তাদের আলোচনার একমাত্র বিষয়।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় শীর্ষ হিজবুল কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকু খতম, বড় সাফল্য সেনার