#Breaking: নতুন দায়িত্ব! কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী হলেন সনিয়া

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হলেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী। টুইটারে এই ঘোষণা করেছেন দলের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। শনিবার দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মোদী মন্ত্রিসভা গঠনের পরের দিন সকালেই সংসদের সেন্ট্রাল হলে বৈঠকে বসল কংগ্রেস। দলের ৫২ সংসদকে নিয়ে হওয়া এই বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী বেছে নেওয়া হলো ইউপিএ’র চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধীকেই। এ দিন বৈঠকের শুরুতেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী হিসেবে সনিয়ার নাম প্রস্তাব করেন। সর্বসম্মতভাবে এই প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। লোকসভা ভোটের খারাপ ফলের পর কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে রাহুল গান্ধী পদত্যাগের ইচ্ছেপ্রকাশ করার পর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তবে কি কংগ্রেসের সংসদীয় নেতা হতে চলেছেন রাহুল। কিন্তু এ দিন স্পষ্ট হয়ে গেল, সংসদীয় নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সনিয়ার উপরেই আস্থা রাখল কংগ্রেস।

প্রথম মোদী জমানায় কংগ্রেসের সংসদীয় নেতা ছিলেন মল্লিকার্জুন খার্গে। কিন্তু ন’বারের বিধায়ক ও দু’বারের সাংসদ এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এ বারের নির্বাচনে কর্ণাটকের গুলবার্গা থেকে হেরে গিয়েছেন। তাই সংসদীয় নেতা বদল করতে হলো কংগ্রেসকে। সংসদীয় দলের নেত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার জন্য দেশের ১২ কোটি ১৩ লক্ষ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সনিয়া। শুধু তাই নয়, ছেলে রাহুল গান্ধীকেও তাঁর পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন। একটি ছোট্ট বার্তায় তিনি বলেন, রাহুল যেভাবে রাত-দিন গোটা দেশে ঘুরে মানুষের সামনে নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকারের দুর্নীতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। রাহুলের এই পরিশ্রমের ফসল হিসেবেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগড়ে সরকার গঠন করতে পেরেছে কংগ্রেস, এমনটাই মনে করে নেতৃত্ব।

কিন্তু এখনও পর্যন্ত সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর রাহুল। এমনকী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে নিজের মত জানানোর পর এই প্রথম দলের নেতাদের সঙ্গে বসলেন রাহুল। এই প্রসঙ্গে সনিয়া বলেছেন, “কংগ্রেস সভাপতির পদে থেকে যাওয়ার জন্য রাহুলের কাছে অনেক বার্তা আসছে। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এ ব্যাপারে নিশ্চয় কিছু সিদ্ধান্ত নেবে।” এ দিনের এই বৈঠকের সময়ে সাধারণ মানুষ এবং কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দেশে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সনিয়া। সেই সঙ্গে বার্তা দেন, “সকল কংগ্রেস কর্মীর এটা মনে রাখা উচিত, যে তাঁরা আমাদের দেশের সবিধানের জন্য লড়াই করছেন। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল দেশবাসীর জন্য লড়াই করছেন।”

উল্লেখ্য, আগের বারের মতো এ বারও বিরোধী দলের সরকারি তকমা পাচ্ছে না কংগ্রেস। কারণ মোট আসনের দশ শতাংশ আসন জিতলে তবেই বিরোধী দল হওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে ৫৪টা আসনে জিততে হত কংগ্রেসকে। কিন্তু এ বার তাদের সাংসদ সংখ্যা ৫২। আগের বারের থেকে মাত্র আটটা বেশি।

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest