‘আমার শ্রবণ আর নেই!’, কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুরকার নাদিম সইফি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বৃহস্পতিবার রাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন নব্বইয়ের দশকের বলিউডে সবথেকে হিট সংগীত পরিচালক জুটি ‘নাদিম-শ্রবণ’ এর শ্রবণ রাঠোরের। বয়স হয়েছিল ৬৭। কয়েকদিন আগেই এই বর্ষীয়ান সংগীত পরিচালককে ভর্তি করা হয়েছিল মুম্বইয়ের মাহিম অঞ্চলের এসএল রাহিজা হাসপাতালে। ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেটর সাপোর্টও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। শ্রবনের অবস্থা যে অত্যন্ত সংকটজনক তার ইঙ্গিত সম্প্রতি দিয়েয়েছিলেন এই সংগীত পরিচালকের বন্ধু বিশিষ্ট গীতিকার সমীর।শেষপর্যন্ত চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার রাত ৯:৩০ নাগাদ চলে গেলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর,করোনার জেরে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়েছিল তাঁর।

অন্য দিকে তাঁর পুত্র সুরকার স়ঞ্জীব রাঠৌর এবং স্ত্রী আরও একটি হাসপাতালে ভর্তি। করোনায় আক্রান্ত তাঁরাও। বাবাকে শেষ দেখার মতো ক্ষমতা নেই ছেলের। তাঁরাও এইমুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

শ্রবণের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই নাদিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল মুম্বইয়ের এক সংবাদসংস্থা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সুরকার। আবেগভরা গলায় নাদিম জানান যে, তিনি মেনে নিতেই পারছেন না তাঁর প্রিয় ‘শানু’ আর নেই। শ্রবণের সঙ্গেই তাঁর যেমন বড় হওয়া তেমনই জীবনের নানা চড়াই উৎরাই একসঙ্গে পেরিয়ে আসা, সেকথাও অকপটে জানালেন এই বর্ষীয়ান সংগীত পরিচালক।

আরও পড়ুন: একজন হিন্দু হিসেবে বলছি, এই বছর কুম্ভ মেলা হওয়ার প্রয়োজন ছিল না: সোনু নিগম

এখানেই না থেমে নাদিম আরও বললেন একদিনের জন্যও শ্রবণের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বন্ধ হয়নি।মেনে নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। নিজেকে অসহায় মনে হচ্ছে। বলেছেন, ‘‘এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে আছি যে তাঁর পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারছি না। আমার ভাইকে শেষ বারের মতো দেখতে পারলাম না। একসঙ্গে বড় হয়েছি আমরা। কোনও দিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হইনি। সে আর নেই।’’

নব্বইয়ের দশকে নাদিম আখতার সইফির সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করতেন শ্রবণ। বলিউডে নাদিম-শ্রবণ নামেই পরিচিত ছিলেন তাঁরা। ‘সজন’, ‘সড়ক’, ‘পরদেশ’, ‘আশিকি’-র মতো ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন দুই সঙ্গীত পরিচালক। কিন্তু সুরকার জুটির যাত্রাপথ থমকে যায় গুলশন কুমারের মৃত্যুর পরে।

‘টি সিরিজ’-এর কর্ণধারের হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে নাম ওঠে নাদিম সইফির। সে সময়ে গ্রেফতারের ভয়ে দেশ ছেড়ে ইংল্যান্ডে পালিয়ে যান তিনি। ৩ বছর আগের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি সেই প্রসঙ্গে কথা বলেন। বলেন, ‘‘কয়েক জন পুলিশ আধিকারিক আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যে অভিযোগটি এনেছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে সততার আশা রাখি এখনও। এ বারে আমাকে নির্দোষ ঘোষণা করা উচিত তাঁদের।’’ নাদিম জানান, অন্য কয়েক জন পুলিশ আধিকারিক তাঁকে সাহায্য করেছিলেন বলেই ল়ন্ডনে বসে সেই মামলায় জিততে পেরেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: অনস্ক্রীনের ‘No Kiss Policy’ তে ইতি টানলেন Salman? জানুন আসল সত্যি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest