ওয়েব ডেস্ক: তাঁর হাতেই রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়া। সেই নরেন্দ্র মোদীই কি না সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়তে চলেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় এমনই আভাস দিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর এই সিদ্ধান্তের কারণ জানাননি প্রধানমন্ত্রী।
দেশের যেকোনও ঘটনাই হোক, দেশে থাকুন বা বিদেশে টুইট করে দেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন প্রধানমন্ত্রী। দেশ, বিদেশের বড় ঘটনা তো বটেই বিখ্যাত কারও জন্মদিনেও শুভেচ্ছে জানাতে সোশ্যাল মিডিয়ার আশ্রয় নেন নমো। সেই সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দিচ্ছেন মোদী! দিনক্ষণও ঠিক করে ফেলেছেন। এনিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: ‘পারবেন না’, মোদীর টুইটের পর নেট দুনিয়ায় ছড়াছড়ি মিমের
মোদী যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী, সোশ্যাল মিডিয়ায় তখন থেকেই হাত পাকিয়েছেন তিনি। আসলে নেপথ্যে কাজ করেছে পেশাদার টিম। এবং একজন আঞ্চলিক নেতা হয়েও সোশ্যাল মিডিয়াই তাঁকে সর্বভারতীয় মঞ্চে পৌঁছে দিয়েছে। গুজরাতের গুড গভর্নেন্স থেকে আচ্ছে দিনের স্বপ্নবিক্রি– এই সোশ্যাল মিডিয়াই তখন গপগপ করে খেয়েছে। ভাইরাল হয়েছে তৎকালীন শাসক কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাঁর সমস্ত টীকাটিপ্পনী। পরবর্তী কালে মোদী নিজেও বলেছেন, দুনিয়ায় এখন ডিজিটাল বিপ্লব চলছে। চলছে তথ্য আদানপ্রদানের বিপ্লবও। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার গুড গভর্নেন্সের জন্যও বিশেষ অস্ত্র। এই প্রসঙ্গেই তিনি ‘থ্রি-সি’র কথা বলেন। কানেক্ট, কমিউনিকেট এবং কারেক্ট।
আরও পড়ুন: ঘৃণা ছাড়ুন, সোশ্যাল মিডিয়া নয়- মোদীকে ‘পরামর্শ’ রাহুলের
তাঁর যে সংখ্যক ফলোয়ার তা বিশ্বের যেকোনও নেতার ঈর্ষার কারণ হতে পারে। তার পরেও সরে যেতে চান মোদী! অবাক রাজনৈতিক মহল।টুইটারে পাঁচ কোটিরও বেশি ফলোয়ার মোদীর। ফেসবুকে সাড়ে চার কোটি। ইনস্টাগ্রামে তিন কোটির বেশি। ইউটিউবে ৪৫ লক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ কেন সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়বেন? তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না নেটিজেনরা। বিরোধীরা অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধী টুইট করে মোদিকে পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দয়া করে ঘৃণা ছাড়ুন, সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়তে হবে না।’মোদি সত্যিই সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়বেন, নাকি এটা তাঁর কোনও রাজনৈতিক পরিবকল্পনার অংশ? তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
Give up hatred, not social media accounts. pic.twitter.com/HDymHw2VrB
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) March 2, 2020