পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম শুনলেই এই মুহূর্তে নাভিশ্বাস উঠছে জনতার। সেঞ্চুরি পার করেও রোজই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে দাম, যার ফলে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। শুধু পেট্রোল-ডিজেলই নয় রান্নার গ্যাস, ভোজ্য তেল সবকিছুই এই মুহূর্তে অগ্নিমূল্য। এবার ফের দাম বাড়তে চলেছে একটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। ২০০৭ সালে শেষবার ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে এক টাকা হয়েছিল একটি দেশলাই বাক্সের দাম। ১৪ বছর পর ফের একবার দেশলাই বাক্সের দাম বাড়াতে চলেছেন নির্মাতারা।
জানা গেছে আগামী ডিসেম্বর থেকে আর এক টাকায় মিলবে না দেশলাই বাক্স। এবার তার নতুন দাম হতে চলেছে দু টাকা। বৃহস্পতিবার শিবাকাশীতে দেশলাই বাক্স নির্মাতাদের একটি সর্বভারতীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাঁচটি প্রধান ম্যাচবক্স শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দাম ১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা করার।
শেষবার দেশলাই বাক্সের দাম বেড়েছিল ২০০৭ সালে। সেবার ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১ টাকা করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার শিবকাশীতে অল ইন্ডিয়া চেম্বার অফ ম্যাচ-র (All India Chamber of Matches) বৈঠকে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিল্প প্রতিনিধিরা কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিকে দেশলাইয়ের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন।
প্রস্তুতকারকরা বলেছেন যে একটি দেশলাই বাক্স তৈরি করতে ১৪টি কাঁচামাল প্রয়োজন। এক কেজি লাল ফসফরাসের দাম ৪২৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮১০ টাকা, মোম ৫৮ টাকা থেকে বেড় হয়েছে ৮০ টাকা, বাইরের বক্স বোর্ড ৩৬ টাকা থেকে বেড় হয়েছে ৫৫ টাকা এবং ভিতরের বক্স বোর্ড ৩২ টাকা থেকে হয়েছে ৫৮ টাকা। এছাড়াও কাগজ, স্প্লিন্ট, পটাসিয়াম ক্লোরেট ও সালফারের দাম ১০ অক্টোবর থেকে বেড়েছে। ডিজেলের দাম বাড়ার ফলে আরও বোঝা পড়েছে।
ন্যাশনাল স্মল ম্যাচবক্স ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব ভিএস সেথুরাথিনাম জানান, নির্মাতারা এক বান্ডিল অর্থাৎ ৬০০ দেশলাই বাক্স (প্রতিটি বাক্সে ৫০ টি স্টিক) ২৭০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছে। প্রতি বান্ডিলের দাম ৬০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন দাম হবে ৪৩০ টাকা থেকে ৪৮০ টাকার মধ্যে। ১২ শতাংশ জিএসটি এবং পরিবহন খরচ বাদে এই দাম।
জানিয়ে রাখি, কেরালাতেই দেশলাই বাক্স নির্মাণ শিল্পে কাজ করেন প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ। যার মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। প্রতিনিয়ত মূল্যবৃদ্ধি তাদের জীবনেও বড় প্রভাব ফেলেছে।