Delhi Crime: Man killed girlfriend, chopped body into 35 pieces

Delhi Crime : ফ্রিজে ঠান্ডা পানীয়ের পাশেই শ্রদ্ধার মুণ্ড! শেফের প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়েই প্রেমিকার দেহের ৩৫ টুকরো

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দিল্লিতে তরুণী খুনের তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়াতেই লিভ ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করে ধৃত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Poonawalla) । প্রায় ছ মাস ধরে সেই ঘটনা যেভাবে চেপে রেখেছিল আফতার, এবং প্রমাণ লোপাটে যেভাবে একের পর এক ফন্দি করেছিল, তাতেই কার্যত তাজ্জব বনে গিয়েছেন দিল্লি পুলিশের তদন্তকারীরা। মেহেরৌলির জঙ্গল থেকে ইতিমধ্যেই কিছু দেহাংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে সেই দেহাংশ শ্রদ্ধার কিনা তা এখনও নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা।

খুনের পর শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar) দেহ ৩৫ টুকরো করে ফেলেই থামেনি আফতাব। কার্যত কিমা করে ফেলে শ্রদ্ধার অন্ত্র (Intestines)। শ্রদ্ধার দেহ রাখার জন্য নতুন একটি ফ্রিজ কেনে। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহের পাশে নিজের খাবারও ওই ফ্রিজেই রাখত আফতাব!  ঠান্ডা পানীয়ের পাশেই রাখা ছিল শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ডু! ফ্রিজে ঢোকানো যায় এমন মাপেই টুকরো-টুকরো করা হয়েছিল দেহ।

পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃত আফতাব পুনাওয়ালা প্রশিক্ষিত শেফ ছিলেন। তদন্তকারীদের অনুমান সম্ভবত মাংস কাটার ছুড়ি দিয়েই শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো করে ফেলে সে। জানা গিয়েছে একাধিক ক্রাইম ঘরানার সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ (Crime Movies and Web Series) দেখতেন আফতাব। তাঁর ‘ওয়াচলিস্ট’-এ ছিল ‘ডেক্সটার’ (Dexter), যা তিনি এই ঘটনা ঘটানোর আগেই দেখেছিলেন। খবর মিলেছে দিল্লি পুলিশ সূত্রে।

তদন্তে নেমে দু’জনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খুঁটিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক করা বন্ধ করেছেন আফতাব। ইনস্টাগ্রামে তাঁর শেষ পোস্ট ফেব্রুয়ারি মাসে। সেখানে চকোলেটের ছবি পোস্ট করেন আফতাব। শ্রদ্ধা (Shraddha Walkar) ইনস্টাগ্রামে শেষ পোস্ট করেছিলেন মে মাসের ১১ তারিখ। লিখেছিলেন ‘প্রতিদিন আরও নতুন কিছু অন্বেষণ করে চলেছি।’  ফেসবুকে নিজের সম্পর্কে পোস্ট করে আফতাব লিখেছিলেন, “প্রোফাইল পিকচারটি দেখুন, কেউ বলবে আমি শয়তান!”

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ‘মুম্বইয়ে এক ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয় দুই জনের। তিন বছর ধরে তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এবং দিল্লিতে এসে থাকতে শুরু করেন। দিল্লিতে চলে আসার পরই শ্রদ্ধা ওই যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন।’

পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে ‘দুইজনের (Aftab Poonawalla-Shraddha Walkar)মধ্যে প্রায়ই বিয়ে নিয়ে সমস্যা হত এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেত। ১৮ মে-র এই নির্দিষ্ট ঘটনায় নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে যুবক।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest