Gaganyaan: PM Modi reveals names of 4 astronauts for Gaganyaan mission

Gaganyaan: ‘গগনযান’ নিয়ে মহাশূন্যে উড়বেন ভারতের এই ৪ নভোচারী, নাম ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

প্রথম বার ভারতীয় মহাকাশযান ‘গগনযানে’ করে মহাকাশে যাবেন মহাকাশচারীরা। কয়েক দিন আগেই পরীক্ষায় সফল হয়েছে সেই বাহনের ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন। কিন্তু কারা যাবেন? এ বার সেই নাম ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

মঙ্গলবার তিরুবনন্তপুরমে বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে সেই চার মহাকাশচারীর নাম ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিনের প্রশিক্ষণের পরে ‘গগনযান’ মিশনের জন্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণন নায়ার, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণন, গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। নিজের হাতে তাঁদের বুকের ডানদিকে  ‘অ্য়াস্ট্রোনোট উইং’ ব্যাজ  পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

২০১৯ সালে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার বা ইসরো) এবং রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা গ্লাভকসমসের মধ্যে একটি মউ (সমঝোতাপত্র) স্বাক্ষরিত হয়। তার পর সম্ভাব্য অন্য নভশ্চরদের সঙ্গে রাশিয়ার ইউরি গ্যাগারিন কসমোনট ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই চার জনকেও। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে।

মহাকাশের ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে মানুষকে পাঠানোর যে পরিকল্পনা, তার অঙ্গ হিসাবে গত অক্টোবর মাসেই পরীক্ষামূলক ভাবে মহাকাশে মানববিহীন গগনযান পাঠায় ইসরো।মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পর কী ভাবে তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যায়, তা খুঁটিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়। গগনযানের উৎক্ষেপণ সফল হলে দ্বিতীয় ধাপে ‘ব্যোমমিত্রা’ বলে একটি রোবটকে মহাকাশে পাঠাবে ইসরো।সেই অভিযান সফল হলে ২০২৪-২৫ সালে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হবে। তিন দিন মহাকাশে থাকার পর চার মহাকাশচারীকে নিয়ে ফিরে আসবে গগনযান।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন নির্বাচিত নভোচররা সকলেই পুরুষ? কেন কোনও মহিলা মহাকাশচারীকে রাখা হয়নি তালিকায়? এখনও পর্যন্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত যে চারজন মহাকাশচারী অন্তরীক্ষে গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুই মহিলা সুনীতা উইলিয়ামস ও কল্পনা চাওলা। কিন্তু গগনযান মিশনের সমস্ত নভোচরই পুরুষ। কেন এই মিশনে কোনও মহিলা মহাকাশচারীকে পাঠানো হচ্ছে না? এবিষয়ে ইসরোর তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া না হলেও এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এর পিছনে রয়েছে একটিই ফ্যাক্টর। আসলে গগনযানের মহাকাশচারী বাছা হয়েছে দেশের টেস্ট পাইলটদের ভিতর থেকে। আর এই মুহূর্তে দেশে কোনও মহিলা টেস্ট পাইলট নেই। সেই কারণেই নির্বাচিতরা সকলেই পুরুষ। প্রসঙ্গত, টেস্ট পাইলটরা সকলেই অত্যন্ত দক্ষ চালক। এবং বিপদের পরিস্থিতিতেও ঠান্ডা মাথায় থাকতে পারেন তাঁরা। সেই কারণেই মহাকাশচারী বাছার সময় টেস্ট পাইলটদের বেছে নেওয়া হয়েছে।