Investigation committe is going to be formed for the Kedarnath temple Scam

Kedarnath Temple Scam: কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়ালে সোনা নাকি আসলে পিতল!

দূর্নীতি হয়েছে কমপক্ষে ১২৫ কোটি টাকা। মাথা ঘুরে যাওয়ার মতো অঙ্ক। সম্প্রতি কেদারনাথ মন্দিরের এক কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে তোড়পাড় দেশ। এক ভক্তের দানে কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়ালে সোনার পাত বসানোর কথা ছিল। বসানোও হয়েছিল। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, তা মোটেই সোনার নয়, গোটাটাই পিতল! তাহলে কোথায় গেল কোটি কোটি টাকার সোনা? এই কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তরাখণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে আরম্ভ করেছেন বিরোধীরা।

উত্তরাখণ্ডে কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়াল সোনা দিয়ে মোড়ানো হয়েছে, না কি পিতল, এ বার সেই সত্য উদ্ঘাটনে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করছে উত্তরাখণ্ড সরকার।রাজ্যের পর্যটন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সতপাল মহারাজ শুক্রবার জানিয়েছেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব হরিচন্দ্র সেমওয়ালকে এই বিষয়টি তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। গঢ়বালের কমিশনারের নেতৃত্বে ওই কমিটি তদন্ত করবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

যে কমিটি গঠন করা হবে তাতে যেন বিশেষজ্ঞ ছাড়াও স্বর্ণকারদের রাখা হয়। এমন নির্দেশও দিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “কেদারনাথ মন্দিরের এই বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কেউ যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।” মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, শ্রী বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি (বিকেটিসি) আইন, ১৯৩৯ অনুযায়ী, দান গ্রহণ করা হয়েছিল এবং মন্দিরের দেওয়ালে সোনার পাত লাগানোর জন্য সেই দানের বিষয়টি রাজ্য সরকার অনুমোদন করেছিল। তার পরই ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সেই সোনার পাত লাগানো হয়।

মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কেদারনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহকে সোনার চাদরে মুড়ে দেওয়ার কাজ গত বছর এক ভক্তের সহযোগিতায় করা হয়েছিল। সেই কাজের শেষে বিল এবং এই কাজ সংক্রান্ত নথিপত্র মন্দির কমিটিকে জমা দিয়েছিলেন ওই ভক্ত। বিকেটিসি তখন জানিয়েছিল, কেদারনাথের গর্ভগৃহে ২৩,৭৭৭.৮০০ গ্রাম সোনা লাগানো হয়েছিল। যার বর্তমান মূল্য ১৪ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। আর এই কাজে জুড়ে থাকা তামার প্লেটের ওজন প্রায় এক হাজার কিলোগ্রাম। যার দাম ২৯ লক্ষ টাকা। এই সংস্কার কাজে মোট খরচ হয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা।