নরু আছড়ে পড়েছে ফিলিপনসে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সুপার সাইক্লোন নুরুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক এলাকায় আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। আজও দেশের অনেক এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই ভয়ানক এক তাণ্ডবের ইঙ্গিত দিল আবহাওয়া দফতর৷ সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় নরুর দাপটে এখনই ভারত থেকে বর্ষা তো যাবেই না, বরং বিপদের সম্ভাবনা আরও বাড়বে৷ভারতের বিভিন্ন অংশে এখনও বর্ষা চলছে৷ অনেক রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নিলেও বৃষ্টির দাপট কমেনি৷ কলকাতা শহরে পুজোর মধ্যেও বৃষ্টির দাপট দেখেছেন শহরবাসী৷ এখনও বৃষ্টির নানারকম পূর্বাভাস মিলছে প্রতিনিয়ত৷
ঘূর্ণিঝড় নরুর প্রভাবে ইতিমধ্যে ভয়ে কাঁটা হয়ে আছে সাগরপাড়ের একাধিক অংশ৷ বলা হয়েছে, ঝড়ের গতিবেগ রয়েছে ২৪৯ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টায়৷ ধ্বংসলীলা চালানোর জন্য যা যথেষ্ট৷ আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের আবহাওয়ায় ঝড় নুরুর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এ কারণেই নবমী ও দশমীর সময়ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি দেখা গিয়েছে।
এই ঘূর্ণি ঝড়ের কারণে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, বিহার-সহ অনেক প্রতিবেশী রাজ্যে বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পূর্ব রাজস্থান ও হরিয়ানার কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।আবহাওয়াবিষয়ক ওয়েবসাইট স্কাইমেট জানিয়েছে, নরু ঝড়ের কারণে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্তের সঞ্চালন রয়েছে। এ কারণে ঠান্ডা বাতাস বইছে এবং আর্দ্রতা পেয়ে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।তবে বাংলায় এর জেরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না। তাই আশংকার কোনো কারণ নেই।