ওয়েব ডেস্ক: রঙ্গোলি চান্দেল বরাবরই ঠোঁটকাটা। মাঝেমধ্যেই বলিউডের তাব় সেলিব্রিটিদের তিনি এমন কোনও কথা যা নিয়ে তাঁদের অস্বস্তিতে পড়তে হয়। কখনও আবার আলটপকা মন্তব্য করার জন্য নেটদুনিয়ায় হাসির খোরাক হতে হয় রঙ্গোলিকেও। এবারও বলিউডের একাধিক সেলেবকে নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন রঙ্গোলি। অশালীন ভাষায় তিনি আক্রমণ করেছেন করণ জোহরকে। শাবানা আজমি, আমির খান ও জাভেদ আখতারকেও অসম্মান করেছেন।
সম্প্রতি করিনা কাপুর ফ্যান ক্লাবের তরফে একটি টুইট করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, করিনা জানিয়েছেন, অভিনেত্রীরা এখন অনেক বেশি সাহসী হয়েছেন। বিদ্যা ও কঙ্গনা ভিন্ন পথে হেঁটে নতুন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করছেন। এমন একটি টুইটের পর রঙ্গোলি তাঁকে ধন্যবাদ জানান। বলেন, যদিও ‘পাপা জো’ ও ‘মুভি মাফিয়া’দের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল, তা সত্ত্বেও করিনা ভারতীয় সিনেমায় কঙ্গনার অবদান অস্বীকার করেননি। ‘মণিকর্ণিকা’র সময় কঙ্গনাকে তিনি সমর্থন করেছিলেন। ছবিটি যখন সবচেয়ে বেশি টাকা আয় করেছিল, তখনও কিন্তু এই ‘পাপা জো’ ও ‘মুভি মাফিয়া’রা চুপ ছিলেন। এরপর সরাসরি তোপ দাগের রঙ্গোলি। লেখেন, কঙ্গনা নাকি ‘বলিউড ইসলামিক উগ্রপন্থী’দের শিকার। ‘মণিকর্ণিকা’র মতো ছবি, যা এক হিন্দু শহিদের জীবন অবলম্বনে তৈরি, তা নিয়ে এইসব ‘বলিউড ইসলামিক উগ্রপন্থী’রা একটা শব্দও খরচ করেনি।
কিন্তু রঙ্গোলি কাজের ‘বলিউড ইসলামিক উগ্রপন্থী’ বললেন? তাঁদের নামও তিনি লিখেছেন টুইটাকে। শাবানা আজমি, জাভেদ আখতার ও আমির খান। ওই টুইটেই করণ জোহরকে ‘লিবারান্ডু’ বলেছেন তিনি। এও লিখেছেন ‘মণিকর্ণিকা’র পাশে না দাঁড়িয়ে তাঁরা ‘বোকা মেয়ে’ আলিয়ার ছবি ‘রাজি’কে নিয়ে অনেক কথা বলেছেন।
https://twitter.com/Rangoli_A/status/1233993410144374784
এখানেই শেষ নয়, যৌনতা নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন অক্ষয় ঘরনি টুইঙ্কল খান্নাকেও।গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দু’দিনের ভারত সফরে এসেছিলেন ট্রাম্প। মোতেরা স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের সঙ্গে আমজনতার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় তাঁর নামের ভুল উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোশ্যাল মিডিয়াও ভরে যায় হরেক রকম মিমে। ব্যঙ্গ করে টুইঙ্কলও লেখেন, “মোদীর ভুল উচ্চারণ কি এটাই প্রমাণ করে যে ট্রাম্পের পুরুষত্ব সাধারণ পুরুষের থেকে অনেকটাই বেশি? সেই জন্যই কি ভারতীয়দের ‘নমস্তে’ বলে অভিবাদন জানালেন ট্রাম্প?”
এরপরেই টুইঙ্কলকে কুৎসিত মন্তব্য করেন কঙ্গনার দিদি। টুইটারে তিনি লেখেন, “ম্যাম যে ভাবে আপনি আপনার প্রতিটি লেখায় যৌনাঙ্গ, পুরুষাঙ্গ— ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার করতে থাকেন তাতে বোঝাই যায় যে আপনার বিয়ের অনেক দিন হয়ে গিয়েছে। ট্রাম্পের নামের মধ্যেও আপনি যৌনতা খুঁজে পেলেন। বিয়ের কিছু বছর পর কি সবাই এমনটাই হয়ে যায়? সব জায়গাতেই যৌনতার গন্ধ খুঁজে পায়?”
https://twitter.com/Rangoli_A/status/1234006820135395328